বলিউডে বড় বড় তারকাদের হত্যার হুমকি দেয়া নতুন কিছু নয়। বলিউড ইতিহাস ঘাটলে এরকম হত্যার হুমকি কম বেশি অনেকেই পেয়েছেন। এই তালিকায় শাহরুখ-সালমান কেউ বাদ পড়েননি। তবে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার পর থেকে সালমানকে হত্যার হুমকি আসে। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই যেভাবে পাঞ্জাবি শিল্পীকে হত্যা করেছিল, সেভাবে সালমানকেও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার মামলায় জেরা করা হলে এই তথ্য জানায় গ্যাংস্টার নিজেই। ২০১৮ সালে সালমান খানকে খুন করতে চেয়েছিলেন তিনি, আর তার জন্য রাইফেলও কিনেছিলেন।
মৃত্যুর ভয় হোক বা অন্য কিছু হুমকির পরেই পুলিশ কমিশনারের কাছে হাজির হয়েছেন ভাইজান। শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে মুম্বাই পুলিশের হেডকোয়ার্টারে আসেন তিনি। পুলিশ কমিশনার বিবেক ফনসলকরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে যুগ্ম কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। জানা গেছে, ‘সৌজন্যমূলক’ কারণে এই সাক্ষাৎ।
জুন মাসে সালমান এবং তার বাবা সেলিম খান প্রাণনাশের হুমকি পান। এই ঘটনার নেপথ্যে গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনের মামলার অন্যতম চক্রী লরেন্স বিষ্ণোই। একটি হুমকি চিঠি পাঠানো হয় অভিনেতাকে। সেখানে লেখা ছিল ‘মুসেওয়ালার মতো করে দেব’। সেই চিঠি পেয়েছিলেন সালমানের বাবা সেলিম খানের রক্ষীরা।
এরপরেই বাড়িয়ে দেয়া হয় সালমানের নিরাপত্তা। শুধু তাই নয়। গত ৩ জুলাই সালমানের আইনজীবী হস্তিমাল সারস্বতের অফিসের বাইরে থেকে সেই প্রাণনাশের হুমকি চিঠি উদ্ধার করা হয়। চিঠিটি পেয়েছেন সারস্বতের সহকারী জিতেন্দ্র প্রসাদ। বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত আছেন সারস্বত। পরবর্তীতে জিতেন্দ্র পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করলে একটি এফআইআর দাখিল করা হয়। এমনকি জেলে বসেই একজন বন্দুকধারীকে নিয়োগ করে সালমান খানকে হত্যা করার জন্য, কিন্তু সঙ্গে একজন পুলিশকর্মী থাকায় ভাগ্যক্রমে রক্ষা পান সালমান খান। ইতোমধ্যে সালমানের আইনজীবী সারস্বতকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে।
সূত্র: পিংকভিলা