মোঃ নুরুজ্জামান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায়, ২০ মে থেকে শুরু হয়েছে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা। চলবে টানা ৬৫ দিন। বেকার হয়ে পড়েছে রাঙ্গাবালীর জেলেরা। এই ৬৫ দিন বেকার জেলেদের সংসার কিভাবে চলবে, এ চিন্তা মাথায় নিয়ে প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন সরকার। যা প্রতি বছরই দিয়ে আসছেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ৩০ মে থেকে রাঙ্গাবালী উপজেলায় পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হয়েছে এ চাল। গত রবিবার পর্যন্ত উপজেলা সদর রাঙ্গাবালী, বড়বাইশদিয়া, ছোটবাইশদিয়া, চরমোন্তাজ, চালিতাবুনিয়া ও নবগঠিত মৌডুবী ইউনিয়নে বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক কার্ডধারী জেলে পরিবারে ৭৫ কেজি করে চাল পেয়েছেন বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের জেলে হাফেজ গাজী, বেল্লাল মৃধা পিয়েল দফাদারসহ অনেক জেলেরা বলেছেন, এবছর তারা সঠিকভাবে তাদের পাওনাটা পেয়েছেন।
চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ হোসেন জানান, বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে ১৭৪০ জন কার্ডধারী জেলেদের নামে প্রণোদনার চাল বিতরণ করেছেন। প্রতি নামে ৭৫ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। চরমোন্তাজ ইউনিয়নে ২৮০৯ নামে বিতরন করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান আবু সামসুদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন।
নবগঠিত মৌডুবী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রাসেল জানান, তার ইউনিয়নে ৯৩৬ জন কার্ডধারী জেলেদের মাঝে ৭৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
প্রণোদনার চাল পেয়ে খুশিতে রাঙ্গাবালীর জেলেরা। বাকি ক দিন ছেলে মেয়ে নিয়ে ভালই কাটাতে পারবেন বলে জানান তারা।