৫৭ চৌকস সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনা সুপরিকল্পিত : রিজভী

৫৭ চৌকস সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনা সুপরিকল্পিত : রিজভী

রাজনীতি

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪ ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

 

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ঠান্ডামাথায় সুপরিকল্পতভাবে বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন দলের পক্ষ থেকে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটে। মাত্র একদিনে এত সংখ্যক সেনা কর্মকর্তা হত্যার নজির বিশ্বের আর কোথাও নেই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে এতসংখ্যক সেনা কর্মকর্তাকে প্রাণ দিতে হয়নি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৫ বছর পার হয়ে গেলেও এমন বর্বরোচিত ঘটনার আজ পর্যন্ত বিচার সম্পন্ন হয়নি। বরং বিডিআর বিদ্রোহের নামে পিলখানায় সেনা হত্যাযজ্ঞের দায়ে যাদের কারাগারে থাকার কথা ছিল তারাই এখন অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। অথচ বছরের পর বছর ধরে কারাগারে বিনা বিচারে মানবেতর জীবনযাপন করছে শত শত বিডিআর সেনা।

রিজভীর দাবি, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মানুষের বীভৎস হত্যাকাণ্ডের এই দিনটি অবশ্যই প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হওয়া উচিত ছিল। প্রতি বছর যেভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়, উচিত ছিল দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার শপথ নিয়ে একইভাবে যথাযথ রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব সহকারে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিও পালন করা। অথচ সচেতনভাবেই গুরুত্বহীন আর অবহেলায় বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম দিনটি প্রতিবছর প্রায় নীরবেই পার করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়াবহ এই দিনটিকে কেন যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছেনা? সংশয়-সন্দেহ-রহস্য এখানেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *