নানান কূটনৈতিক বিতর্কের পর অবশেষে দেশে ফিরল ‘মুথু রাজা’। উপহারের হাতি ফেরত নিল থাইল্যান্ড। অপব্যবহারের অভিযোগে ২০০১ সালে শ্রীলংকাকে উপহার দেওয়া হাতিটিকে জন্মভূমিতেই ফিরিয়ে আনল ব্যাংকক। মুথু রাজার বর্তমান বয়স ২৯ বছর। ওজন ৮ হাজার ৮০০ পাউন্ড। রোববার ১৯ মিলিয়ন বাইট বাণিজ্যিক ফ্লাইটে কলম্বো থেকে রাজধানী ব্যাংককে পৌঁছায় মুথু রাজা।
সেখান থেকে হাতিটিকে বিশেষভাবে নির্মিত একটি ইস্পাতের খাঁচায় চিয়াং মাইতে (ব্যাংকক থেকে ৪৩৫ মাইল উত্তরে) নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে ছিলেন চারজন থাই হ্যান্ডলার ও একজন শ্রীলংকার চিড়িয়াখানার রক্ষক। ২০০১ সালে থাই রাজপরিবার শ্রীলংকার সরকারকে মুথু রাজাসহ তিনটি হাতি উপহার দেয়। ধর্মীয় পুরাণিদর্শনের বাহক হিসাবে এ উপহার দেওয়া হয়। মুথু রাজাকে শ্রীলংকার দক্ষিণে একটি মন্দিরের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। তবে মন্দিরে হাতিটির প্রতি অনেক অবহেলা করা হয় বলে অভিযোগ তোলে দেশটির প্রাণী অধিকার গোষ্ঠীগুলো। পরে হাতিটিকে সাময়িকভাবে শ্রীলংকার প্রাণিবিদ্যা উদ্যানে স্থানান্তর করা হয়।
সোমবার এএফপির খবরে বলা হয়, মন্দির থেকে সরিয়ে নেওয়ার সময় মুথু রাজা ব্যথায় ভুগছিল। বৌদ্ধমন্দিরে রাখা অবস্থায় হাতিটিকে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে আসার পর থেকেই হাতিটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করে ব্যাংকক। শ্রীলংকাভিত্তিক অ্যাক্টিভিস্ট ‘গ্রুপ র্যালি ফর অ্যানিমল রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (আরএআরই)’ গত বছর শ্রীলংকার সরকারকে থাই কর্মকর্তাদের কাছে হাতিটিকে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেয়।
শ্রীলংকা-থাইল্যান্ড দুদেশই হাতিকে পবিত্র প্রাণী বলে মনে করে। তবে প্রাণীদের প্রতি শ্রীলংকার অবহেলা সত্যিই দুঃখজনক। এ পরিস্থিতির জন্য শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধনা জুন মাসে তার পার্লামেন্ট থেকে দুঃখপ্রকাশ করেন। থাই রাজা মহা ভজিরালংকমের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমাও চান তিনি।