হজের ফরজ কয়টি ও কী কী?

ধর্ম

জুন ৩০, ২০২২ ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সেতুবন্ধন স্থাপন হয় হজের মাধ্যমে। সামর্থ্য থাকলে হজ পালন করা ফরজ। কেউ হজ ফরজ হওয়ার পরেও আদায় না করলে, গুনাহগার হবে। আল্লাহর রসুল (সা.) হাদিসে তাকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছেন।

হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত-মোস্তাহাব ও তালবিয়া ইত্যাদি সংক্ষিপ্ত আকারে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

হজের ফরজ তিনটি

এক. ইহরাম বাঁধা।
দুই. আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
তিন. তাওয়াফুয জিয়ারত।

হজের ওয়াজিব ছয়টি

এক. সাফা ও মারওয়া পাহাড়গুলো মধ্যে সাতবার সায়ি করা।
দুই. নির্ধারিত দিনে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত একমুহূর্তের জন্য হলেও মিনায় অবস্থান করা।
তিন. মিনায় তিন শয়তান (জামারাত) সমূহকে পাথর নিক্ষেপ করা।
চার. হজে তামাত্তু ও কিবরান কারীরা হজ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।
পাঁচ. ইহরাম খোলার পূর্বে মাথার চুল কাটা।
ছয়. মক্কার বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায়কালে তাওয়াফ করা।

এছাড়াও আর যে সমস্ত আমল রয়েছে, এর সবগুলো সুন্নত অথবা মোস্তাহাব।

হজের তালবিয়া

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক, লা-শারিকা-লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি মাতা লাকা ওয়াল-মুল্ক, লা শারিকালাকা লাব্বাইক।’

অর্থ: হে আল্লাহ আমি হাজির! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোনো অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার। আপনার কোনো অংশীদার নেই।

ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ

১. সেলাইযুক্ত যেকোনো কাপড় বা জুতা ব্যবহার, এক্ষেত্রে স্পঞ্জ স্যান্ডেলের ব্যবহার করা।
২. মস্তক ও মুখমণ্ডল (ইহরামের কাপড়সহ যেকোনো কাপড় দ্বারা) ঢাকা।
৩. পায়ের পিঠ ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
৪. চুলকাটা বা ছিঁড়ে ফেলা।
৫. নখকাটা।
৬. ঘ্রাণযুক্ত তৈল বা আতর লাগানো।
৭. স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মিলন করা।
৮. যৌন উত্তেজনামূলক কোনো আচরণ বা কোনো কথা বলা।
৯. শিকার করা।
১০. ঝগড়া বিবাদ বা যুদ্ধ করা।
১১. চুল-দাড়িতে চিরুনি বা আঙ্গুলী চালনা করা, যাতে তা ছিঁড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।
১২. শরীরে সাবান লাগানো।
১৩. উকুন, ছারপোকা, মশা ও মাছিসহ কোনো জীবজন্তু হত্যা করা বা মারা।
১৪. কোনো গুনাহের কাজ করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *