স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে বিশ্রাম নেবেন প্রধানমন্ত্রী

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে বিশ্রাম নেবেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় স্লাইড

মে ১৭, ২০২৩ ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের প্রতীক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কাছে আজ নন্দিত। তার ভাবনায় এখন ভিশন-২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে দিয়ে তিনি মহাকালের ইতিহাসে বিশ্রাম নেবেন। যেসব ক্যাটাগরি পূরণ করলে দেশ স্মার্ট হতে পারে, তিনি এখন সেই কাজই করছেন। পাশাপাশি তিনি বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে রাতদিন ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করছেন। তার এ যাত্রায় সার্বিক সহযোগিতা করছেন আইসিটি উপদেষ্টা ও তারই সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার ভাবনায় স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি), দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার মিডিয়া পরিচালক মো. আফিজুর রহমান প্রমুখ।

এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন। তিনি নিজে যেমন স্মার্ট, দেশটাকেও সেভাবে স্মার্ট বানাতে চান। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি চিন্তাচেতনা এবং সব সিদ্ধান্তই স্মার্ট।

তিনি বলেন, যেদিন তিনি দেশে ফেরেন, লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল। সেদিন ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল, মনে হলো যেন প্রকৃতিও হয়তো বঙ্গবন্ধুকন্যাকে স্বাগত জানাতে এসেছে। অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জনগণকে ভালোবাসেন। তিনি সবার জন্য শিক্ষা, চিকিৎসা বাসস্থান-এসব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এসেছিলেন। কিন্তু ১৭ মে যখন শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন, তিনি কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে আসেন নিই। আমি মনে করি, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যার পর এটা স্বাধীন বাংলাদেশ ছিল না। সেই অবস্থা থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণ করেছেন। মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বলেন, আগামীকাল (আজ) প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাংলাদেশের প্রতীক হিসাবে তিনি জনগণের কাছে আজ নন্দিত, তার প্রত্যাবর্তন আজও শেষ হয়নি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে দিয়ে তিনি মহাকালের ইতিহাসে বিশ্রাম নেবেন বলে এ জাতি বিশ্বাস করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *