স্বপ্নের পদ্মাসেতু ভাগ্য বদলে দেবে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের – এমপি রবি

দেশজুড়ে

জুন ১৮, ২০২২ ৯:১২ অপরাহ্ণ

মনিরুজ্জামান মনি, সাতক্ষীরা

বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নৌ কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ভাগ্যের দূয়ার খুলে যাবে এবং ভাগ্য বদলে দেবে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের। সাতক্ষীরা জেলাসহ ২১ জেলার অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। উন্নয়নের ফলে দুঃখ ঘুচবে এ অঞ্চলের মানুষের। এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদলে যাবে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের জেলা সাতক্ষীরাসহ কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের একটি লালিত স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জুন, শনিবার। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

২৫ জুন সকাল ১০টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন।

পদ্মা সেতু নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আশা, স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণের বিষয় তুলে ধরে এমপি রবি বলেন, পদ্মা সেতু কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতির চেহারা বদলে দেবে। সেই সাথে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানীতে গতি বৃদ্ধি পাবে। এই সাতক্ষীরা অঞ্চলে গড়ে উঠবে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা। পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বাড়বে। বেকারত্ব ঘুচবে। সারাদেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। স্বাধীনতার পর থেকে এই সাতক্ষীরা জেলা ছিল অবহেলিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই সাতক্ষীরাসহ খুলনা বিভাগের সকল জেলায় উন্নয়নের জোয়ার শুরু হয়। বৃহত্তর এই অঞ্চলকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অনুধাবন করেই এই মেগা প্রকল্প হাতে নেন।

তিনি বলেন, আধুনিক পর্যটনকেন্দ্র, পরিকল্পিত নগরায়ন, যোগাযোগ, অর্থনীতি ও কৃষি খাতের উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগ ঝুঁকিসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাভিত্তিক কার্যক্রম। পদ্মা সেতু এসব ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখবে।

পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে। এই সেতু চালু হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ বেড়ে যাবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া, সড়ক ও রেলপথ বিশিষ্ট এই পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করার পাশাপাশি। এতে ওই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তার লাভ করবে। বিনিয়োগ বাড়বে। কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন। তাদের উৎপাদিত পচনশীল পণ্য সরাসরি ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারবেন। এতে পণ্যের ভালো দাম পাওয়া যাবে। এই সেতুর ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। বিশেষ করে ভারতের বাণিজ্য বাড়াতে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ও খুলনার মংলা বন্দর ব্যবহার করা যাবে। আরও বিশদভাবে বলতে গেলে এই সেতু দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ, বাণিজ্য, পর্যটনসহ অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সব মিলিয়ে এই পদ্মাসেতু আসলেই দেশের মানুষের স্বপ্নের সেতু হয়ে বাস্তবে ধরা দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *