সেন্টমার্টিনে ১০০ কিমি বেগে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব, কাঁপছে ভবন

জাতীয় স্লাইড

মে ১৪, ২০২৩ ৩:১৯ অপরাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। রোববার সকালের দিকে উপকূল অতিক্রম শুরু করে এ ঘূর্ণিঝড়। তবে মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিনে তাণ্ডব চলছে। বাতাসের গতিবেগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি প্রবল বাতাসের কারণে ঐ এলাকার বহুতল ভবনগুলো কাঁপছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

রোববার বেলা ১টায় আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদফতর আয়োজিত বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

তিনি বলেন, আমি এইমাত্র সেন্ট মার্টিন আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের মতো, যা বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও ছিল ৮০ কিলোমিটারের মতো।

আজিজুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানি এরইমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে, এমনি বিকেল চারটা নাগাদ জোয়ারের পরিমাণ আরো বাড়বে। তবে বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই। জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা ৮ থেকে ১২ ফিটের মতো বেড়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সেন্টমার্টিন আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে যুক্ত করেন আবহাওয়া অধিদফতর পরিচালক।

এ সময় আমিরুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে বাতাসের গতিবেগ ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে। তবে বাতাসের পরিমাণ বাড়লেও বৃষ্টি শুরু হয়নি। যে পরিমাণ বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, এতে করে সেন্ট মার্টিনের বিল্ডিংগুলো কাঁপছে। আমাদের আবহাওয়া অফিসে স্থানীয় লোকজন অবস্থান নিয়েছে।

কথা শেষে মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাতাসের গতিবেগ শুধু সেন্টমার্টিনই নয়, টেকনাফেও বেড়েছে। আমরা বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে টেকনাফে বাতাসের গতিবেগ দেখেছি ৮২ কিলোমিটার। এখন সেটি আরো বেড়েছে বলে খবর পেয়েছি।

পরিচালক আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা বিকেল ৩টা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করবে। এসময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় হতো পারে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারের মতো। আর সন্ধ্যা নাগাদ মিয়ানমার অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের মূল কেন্দ্রটির অবস্থান ৭৪ কিলোমিটারের মতো আছে। আমরা ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছি।

এর আগে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারের ওপর, যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দূরত্বে মিয়ানমারের সিটুয়ে অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *