সিজারের কতদিন পর শারীরিক সম্পর্ক করা যায়

সিজারের কতদিন পর শারীরিক সম্পর্ক করা যায়

লাইফস্টাইল

অক্টোবর ২৬, ২০২২ ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া একই সঙ্গে টেনশন বা মানসিক চাপ সব কিছুই বিশেষ প্রভাব পড়বে জীবনে ৷ বর্তমানে বহু নারী আছেন যারা গর্ভাবস্থায় কোনো না কোনো জটিলতা থাকে।

সেই জটিলতা এড়ানোর জন্য সিজার করে শিশুর জন্ম দেওয়া হয়। সিজার ডেলিভারি ঠিক তখনই করা হয় যখন মা ও শিশুর ঝুঁকি থেকে যায়। এই মা ও শিশুর ঝুঁকি বুঝতে পারলে তখনই চিকিৎসকেরা এই সিদ্ধান্ত নেন সিজারের।

ঝুঁকি নানান ধরনের হতে পারে যেমন শিশুর অবস্থান ঠিক নয় এই বিষয়ে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হয়। প্রধানত গর্ভাবস্থায় শিশুর অবস্থান থাকে মাথা নিচে আর পা উপরে কিন্তু বিভিন্ন সময়েই দেখতে পাওয়া যায় শিশুর স্থান পরিবর্তিত হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পরই।

গর্ভবস্থায় নারীদের টেনশন প্রচুর পরিমাণে বাড়তে থাকে। এই কারণেই বেশ কিছু রোগে ভুগতে থাকেন নারীরা ৷ সিজার করে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে স্বাভাবিক স্থিতিতে নারীর শরীর আসতে দীর্ঘ সময় লাগে ৷

যদি কোনো নারীর নর্মাল ডেলিভারি হয় সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক শরীরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া হওয়ার ক্ষেত্রে দেড় মাস লাগেনা ৷ কোনো নারীর সিজার হলে সুস্থ স্বাভাবিক হতে একটু বেশি সময় লাগবে তো বটেই ৷

কোনো নারীর সিজার ডেলিভারি হওয়ার পরে শারীরিক সম্পর্ক করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে গেলে সমস্যায় পড়ে হবে ৷ সিজারিয়ান ডেলিভারি হওয়ার পরে খেয়াল রাখতে হবে ৭ থেকে ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত নারীদের খেয়াল রাখতে হবে ৷

ঠিক কবে তার শারীরিক সম্পর্কের উপযুক্ত হবে ৷ এই বিষয়ে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন সিজারের মাধ্যমে কোনো নারীর ডেলিভারি হলে সেক্ষেত্রে পেট ও গর্ভাশয় চিরেই করতে হয়।

নারীর শারীরিক জটিলতা থাকার কারণেই সিজার করা হয়ে থাকে ৷ সন্তানের জন্ম যাতে সঠিক ও স্বাভাবিক ভাবেই হয়ে থাকে ৷ দ্রুতকালীন এই অপারেশন হয়ে থাকে।

সি সেকশন ডেলিভারির ক্ষেত্রে নারীদের পেটে সেলাই করা হয়ে থাকে সেটি থেকে সুস্থ হতে হতে কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ সময় লাগে ৷ তবে শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী প্রতিটি নারীর সেরে ওঠার সময় আলাদা আলাদা করে হয়ে থাকে।

তবে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে শারীরিক প্রক্রিয়া যখন শুরু হবে তখনই নির্দিষ্ট ভাবে শারীরিক সম্পর্কের কথা ভাবতে পারেন ৷ তবে এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন চিকিৎসকই।

সূত্র: নিউজ ১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *