সিঙ্গাপুরকে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

জাতীয় স্লাইড

মে ১৯, ২০২২ ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরকে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বুধবার (১৮ মে) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের নন-রেসিডেন্ট অ্যাম্বাসেডর ডিরেক লোহের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য সিঙ্গাপুরে রফতানি হয়। এই মুহূর্তে উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযাগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করে পণ্য নির্বাচন ও বাণিজ্য করতে পারে।

গত বছরের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে (২০২০-২০২১) সিঙ্গাপুর ১১৬ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করেছে ২ হাজার ৪৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে বাংলাদেশ সিঙ্গপুরে রফতানি বাড়াতে চায়। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশ পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, ঔষধ এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশে এখন অনেকেই বিনিয়োগ করছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ১০০টি স্থানে স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তুলছেন। এদের মধ্যে অনেক কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশ এরইমধ্যে এখানে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে।

মতবিনিময় সভায় ডিরেক লোহ বলেন, সিঙ্গাপুর ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। নৌপথে পণ্য পরিবহনে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা দিতে পারে। এক্ষেত্রে পণ্যের অবাধ পরিবহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লজিস্টিকস, বন্দর ব্যবস্থাপনা ও শুল্ক কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সহজ করতে সহায়তা দেয়া সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নে সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড সহযোগিতা করতে পারে। এছাড়া সেমি কন্ডাক্টর উৎপাদনে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। এতে পণ্য পরিবহনে ব্যয় কমানো যাবে। সিঙ্গাপুর বিভিন্ন শিল্পের উন্নত কাঁচামাল বাংলাদেশে সরবরাহ করে।

সভায় ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে উভয় দেশের মধ্যে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময় করতে একমত পোষণ করেন অংশগ্রহণকারীরা। এ সময় উভয় দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *