সাদামাটা ভাবে বিজয় দিবস উদযাপন সোহরাওয়ার্দী কলেজে

সাদামাটা ভাবে বিজয় দিবস উদযাপন সোহরাওয়ার্দী কলেজে

দেশজুড়ে

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে নামে মাত্র বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কলেজ প্রশাসন তা দায়সারা ভাবে কোনমতে উদযাপিত করেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় বেশির ভাগ আসন খালি রয়েছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিত নেই বললেই চলে, হাতেগোনা সামান্য গুটিকয়েক জন শিক্ষার্থী নিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে। ৫০ টির আসন রাখা হয়ে ছিল শিক্ষার্থীদের জন্য যার পুরোটাই দেখা ফাঁকা পরে আছে।

অনুষ্ঠানে ছিল না কোন বিজয় র‍্যালি, চিত্রআঙ্কন,খেলাধুলা কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অফিশিয়াল কোন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অনুষ্ঠানের কথা তাদের জানানো হয়নি। কলেজ ওয়েবসাইটে সার্চ করে দেখা যায় ১২ ডিসেম্বরে শীতকালীন ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে নামে মাত্র উদযাপনের বিষয় জানানো হয়। যার কারণে কারণে পরবর্তীতে আর কোন বিজ্ঞপ্তি না পাওয়ায় শিক্ষার্থী এই উদযাপনের বিষয়ে কিছুর জানে না। কলেজ প্রশাসনের এমন অবহেলার শিক্ষার্থীরা খুবই উদ্বিগ্ন। তাদের অভিযোগ প্রতিটা জাতীয় অনুষ্ঠানেই এমনটি করা হয়ে থাকে। কলেজ প্রাঙ্গনের সামনে কোনমতে মঞ্চে একটু সামিয়ানা টানিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তবে শিক্ষার্থীদের বসার জায়গায় কোন সামিয়ানা টাঙানো হয়েছিল না। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ খোলা আকাশের নিচে বসে এই উদযাপন দেখে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, সাত কলেজের অন্যান্য সকল ক্যাম্পাসে অডিটোরিয়াম রুমে বিজয় দিবসসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলেও আমাদের হয়েছে খোলা আকাশের নিচে যা খুবই দুঃখের বিষয়। কলেজ প্রশাসনের এমন অবহেলা মেনে নেওয়া মোটেও বাঞ্চনীয় নয়। প্রতিবছরই কলেজ কতৃপক্ষ জাতীয় অনুষ্ঠানে এমনটা করে থাকে। এই তো গেল ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস। যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। কলেজ কতৃপক্ষ নিজেদের মতো করে অফিসচিয়ার্স কাউন্সিলে বসে একটা আলোচনা সভা করে যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেউ যেতে পারে নি, এমনকি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাউকে জানানো হয়নি। বুদ্ধিজীবী দিবসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেখানে আলোচনা সভা করার কথা, শিক্ষার্থীদের মাঝে বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে জানানোর কথা তার কোনটাই করে নি কলেজ প্রশাসন, যা বলা চলে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবহেলা পাত্রের মাঝে রেখে চলে। তাদের এই গাফিলতির কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জাতীয় দিবস সম্পর্কে কোন কিছু জানতে পারছে না। কলেজটাকে নিচুর সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে ফেলা হচ্ছে।

এদিকে সাংবাদিকদের উপস্থিত দেখে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: মোহসীন কবির আলোচনা সভার বক্তৃতা শেষে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান। অন্যদিকে উপাধ্যক্ষ দায়সারা জাবাব দিয়ে এরিয়ে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *