মতিউর রহমান সরকার, ঢাবি প্রতিনিধি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন আজ। দিনটি উপলক্ষে সকাল ৮ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ আরও অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
শেখ রাসেলের জন্মদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে বলেন, “শিশুদের জন্য নিরাপদ, মানবিক, সহিংসতামুক্ত বিশ্বের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর। নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভিক, শহিদ শেখ রাসেলের জন্য ভালোবাসা। শহিদ শেখ রাসেলের স্মৃতি অমর হোক।”
শেখ রাসেল তৎকালীন ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রিয় লেখক খ্যাতিমান দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে পরিবারের নতুন সদস্যের নাম রাখেন ‘রাসেল’। ‘কারাগারের রোজনামচা’য় শেখ রাসেলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘‘৮ ফেব্রুয়ারি ২ বছরের ছেলেটা এসে বলে, আব্বা বাড়ি চলো।’ কী উত্তর ওকে আমি দিব। ওকে ভোলাতে চেষ্টা করলাম ও তো বোঝে না আমি কারাবন্দি। ওকে বললাম, ‘তোমার মার বাড়ি তুমি যাও। আমি আমার বাড়ি থাকি। আবার আমাকে দেখতে এসো।’ ও কী বুঝতে চায়! কি করে নিয়ে যাবে এই ছোট্ট ছেলেটা, ওর দুর্বল হাত দিয়ে মুক্ত করে এই পাষাণ প্রাচীর থেকে! দুঃখ আমার লেগেছে। শত হলেও আমি তো মানুষ আর ওর জন্মদাতা। অন্য ছেলে-মেয়েরা বুঝতে শিখেছে। কিন্তু রাসেল এখনো বুঝতে শিখেনি। তাই মাঝে মাঝে আমাকে নিয়ে যেতে চায় বাড়িতে’।
দুরন্ত, প্রাণবন্ত, খেলাধুলাপ্রেমী ও মেধাবী শেখ রাসেল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাত্র ১১ বছর বয়সে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে শহীদ হন। এ সময় তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।