রোনালদোর সেই সংবাদ ভুয়া!

রোনালদোর সেই সংবাদ ভুয়া!

খেলা

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩ ২:০৯ অপরাহ্ণ

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগে শোকে কাতর বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমবেদনা জানিয়েছেন অসংখ্য তারকারা। সে তালিকায় আছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসিও। সাবেক সতীর্থ আশরাফ হাকিমির দেশকে নিয়ে সহমর্মিতার বার্তা দিয়েছেন আলবিসেলেস্তে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

মরক্কোতে ভূমিকম্প হওয়ার পরপরই বিশ্বের বিভিন্ন জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, হতাহতদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে রোনালদোর চেইন হোটেলের দরজা। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই সেটি হু হু করে ভাইরাল হয়ে যায়। যা নজর এড়ায়নি রোনালদোর চেইন হোটেল মারাকেশ শাখারও।

জানা গেছে, মরক্কোর ভূমিকম্পে রোনালদোর চেইন হোটেল উন্মুক্তের বিষয়টি সত্য নয়। এরই মধ্যে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে মারাকেশ শাখা। একই সঙ্গে প্রচারিত ভুল সংবাদ সংশোধন করতেও বলা হয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। যে ভুলের খেসারত দিয়েছে বিশ্বের নামিদামি গণমাধ্যমগুলোও। গোল ডট কম, মার্কা, এএস, স্পোর্টস বাইবেলের মত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও এ খবর প্রচার করেছিল।

মরক্কোর ভূমিকম্পে বিপর্যস্তদের সাহায্যার্থে হোটেলের দরজা খুলে দেওয়ার এই খবর মিথ্যা। এমনিতেই অতিথির চাপ সামাল দিতে পারছে না তারা। হোটেলের আশপাশে বেশ কিছু গৃহহীনদের দেখেই এমন সংবাদের শুরু।

হোটেল খুলে না দিলেও রোনালদো সহমর্মিতা জানিয়েছেন ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মতোই আরেক ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এগিয়ে এসেছেন। নিহতদের পরিবারের জন্য শোক জানিয়েছেন, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

মরক্কোর সবচেয়ে বড় তারকা আশরাফ হাকিমির কানেও পৌঁছেছে আহতদের আহাজারি। তার দৃষ্টিতে আহতদের চিকিৎসা অগ্রাধিকার। তাইতো নিজে রক্ত দিয়েছেন, পাশাপাশি রক্ত দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন তিনি।

মারাকেশ আর নগরবাসীর প্রতি শোক জানিয়েছে ফ্রান্সের লিগা ওয়ান থেকে হাকিমির ক্লাব পিএসজি, অলিম্পিক মার্শেই, স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ। দিয়েছে শোককে শক্তিতে রূপান্তরের সাহস।

এদিকে মরক্কো নারী লিগে খেলা কেনিয়ান ফুটবলার ভায়োলেট নানজালা তার দুঃসহ অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। মারাকেশ থেকে আটশ কিলোমিটারের বেশি দূরে থাকায় শারীরিকভাবে আহত হননি। তবে মানসিক আঘাত বড্ড তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *