ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩ ১২:১৪ অপরাহ্ণ
রাশিয়া ধ্বংসে স্থানীয় সংঘাতকে একটি বৈশ্বিক সংঘাতে রূপ দিতে চায় পশ্চিমারা। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের বছরপূর্তির আগে জাতির উদ্দেশে বার্ষিক স্টেট অব দ্য নেশন ভাষণে এ মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ধ্বংসে বিশ্বযুদ্ধ উসকে দিচ্ছে পশ্চিমারা। এই যুদ্ধ চলমান থাকবে।’ বক্তব্যে তিনি মস্কোকে পরাজিত করার মিথ্যা আশায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোকে অভিযুক্ত করেন এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে উসকে দেওয়ার জন্য। ভাষণে রাশিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক অভিজাতদের বলেন, রাশিয়া যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, সতর্কতার সঙ্গে তা ধারাবাহিকভাবে সমাধান করতে হবে।
ইউক্রেনীয়দের উদ্দেশে বলেন, যুদ্ধ এড়াতে যথাসম্ভব চেষ্টা ছিল রাশিয়ার। ইউক্রেনের রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়া আক্রমণ করার পরিকল্পনার কারণে যুদ্ধে জড়াতে রাশিয়া বাধ্য হয় বলে দাবি পুতিনের। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জনগণ পশ্চিমাদের কাছে জিম্মি। এ যুদ্ধ ইউক্রেনের জনগণের সঙ্গে নয়। সরকারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবারের এই ভাষণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ‘নিউ স্টার্ট’ স্থগিতের ঘোষণা দেন তিনি। বলেন, বিশ্ব কৌশলগত সমতা লঙ্ঘন করা হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ভাষণে পুতিন জানান, ইউক্রেন নিজেদের জাতীয় স্বার্থের পরিবর্তে কাজ করছে পশ্চিমা প্রভুদের স্বার্থরক্ষায়। তিনি বলেন, ‘কিয়েভের বোঝা উচিত, দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে দখল করে নিয়েছে তাদের পশ্চিমা প্রভুরা। ইউক্রেনের শিল্প ও অর্থনীতি উভয়ই পশ্চিমারা ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি তার। যুদ্ধে রাশিয়ায় যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেম তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা লিঙ্গ ও যৌন স্বাধীনতাকে অস্তিত্ব সংকট হিসাবে নিন্দা জানিয়ে আসছেন বরাবর। মঙ্গলবারের ভাষণে তিনি বলেন, পশ্চিমে আদর্শ হয়ে উঠেছে পেডোফিলিয়া (শিশুদের যৌন হেনস্তা)। অন্যদিকে ইউক্রেন আক্রমণের ন্যায্যতা হিসাবে পশ্চিমাদের হুমকির অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে দাবি জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুভিলার্ন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেন অথবা অন্য কোনো দেশ থেকে রাশিয়াকে কোনো ধরনের হুমকিও দেওয়া হয়নি। ইউক্রেন বিষয়বস্তুর মাধ্যমেই ভাষণ শেষ করেন পুতিন। এরপর তিনি দনবাসে লড়াই করার জন্য সামরিক নিবন্ধন অফিসে যেসব স্বেচ্ছাসেবক এসেছিলেন, তাদের ধন্যবাদ জানান। পুতিন যে কোনো পরিস্থিতিতে লড়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সবশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও আÍবিশ্বাসী থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সত্য আমাদের পক্ষে।’