এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার
রামুর কচ্ছপিয়ার টেকপাড়ায় বার্মিজ চোরাই গরু পাচার কালে গত ২৯ মার্চ রাতে ডাকাতের কবলে পড়েন গরু পাচার চক্র। এতে গরু লুটে জড়িত ডাকাতের এলোপাতাড়ি গুলি ও রামদা’র কোপে গুরুতর আহত হন কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বালুবাসা এলাকার মাহাবুব। মুমূর্ষ মাহাবুব মৃত্যুর সাথে যখন পাজ্ঞা লড়ছিল তখনই একটি দুষ্কৃতকারী চক্র নিরপরাধ মানুষ কে জড়িয়ে অপরাধী গরু ডাকাতদের বাচাঁতে চক্রান্তের জাল বুনেন।
গত ২৯ মার্চ রাতে গরু পাচারকারী চক্রের সদস্য কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বালু বাসা এলাকার মাহবুবের উপর এলোপাতাড়ি গুলি ও রামদা এর কোপে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গর্জনিয়ার মাঝির কাটা এলাকার শাহিনুর রহমান ও লেদা পুতু জড়িত বলে বিমূর্ষ অবস্হায় কৌশলে মাহবুবের ভিডিও স্বীকারোক্তি নেন। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন মিডিয়ায় গুলিবিদ্ধ মাহাবুবের বরাত দিয়ে যে মিথ্যা গুজব ছডাচ্ছে ওই ভিডিও বক্তব্য সম্পর্ণ বানোয়াট দাবী করে আলোচিত বালু বাসা এলাকার গরু পাচারকারী চক্রের সদস্য মাহবুব আলম জানান,গুলি ও রামদা’র কোপে বেহুশ ছিলেন মাহাবুব আলম। অচেনা ২ জন লোক আমাকে ( মাহাবুব) কে তখন মাঝির কাটা এলাকার শাহিনুর রহমান ও লেদা পুঁতিয়া গুলি করে গরু লুটের ঘটনায় জড়িত বলতে বলেন। গূরুতর বিমূর্ষ অবস্থায় অপরিচিত কথিত লোকদের শিখিয়ে দেওয়া কথাগুলো বলেন উল্লেখ করে মাহাবুব আরো জানান, রাতের অন্ধকারে আকস্মিক গরু লুটের উদ্দেশ্যে ডাকাতদের তান্ডবে গরু পাচার কাজে জড়িত মাহাবুব সহ সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। রাতের অন্ধকারে ৮/১০ জন গরু ডাকাতদের দেখেছেন ঠিকই কিন্তু কাউকে মাহাবুব আলম চিনতে পারেন নাই বলে ও সাংবাদিকদের জানান।তবে মাহাবুব এ ঘটনায় তদন্ত করে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে গরু লুটের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কচ্ছপিয়ার টেকপাড়া এলাকায় গত ২৯ মার্চ রাত সাড়ে ৮ ঘটিকায় সংঘটিত চোরাই গরু লুটের ঘটনায় আসল অপরাধীদের বাঁচাতে পরিকল্পিত ভাবে মাঝির কাটা এলাকার সমাজসেবক শাহিনুর রহমান ও লেদা পুঁতিয়া কে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে মহলবিশেষ মহল এমন অভিযোগ করেছেন মাঝির কাটা এলাকাবাসী।
ভিন্ন ইউনিয়নে গরু লুট সহ নানা অপকর্ম জ্যামিতিক হারে ঘটিয়ে এলাকার আইনশৃঙ্খলার বারোটা বাজাচ্ছে চিহ্নিত একটি চক্র। অথচ চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মূলক পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো শান্ত জনপদ মাঝির কাটার সমাজসেবক শাহিনুর রহমান ও লেদা পুঁতিয়া কে জড়িয়ে মিথ্যাচার চালাচ্ছেন স্বার্থনেষী মহল।
মাঝির কাটা ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মহিউদ্দিন, সাবেক মেম্বার কামাল হোসেন, প্রবীণ মুরব্বি মোহাম্মদ হাসান,নুরুজ্জামান, সামশুল আলম, বেদারুল আলম, নজরুল, বদিউল আলম, রশিদ আহমদ, মোটরসাইকেল চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল জানান,২৯ মার্চ রাত সাড়ে ৮ ঘটিকায় কচ্ছপিয়া টেকপাড়ায় গরু লুটের উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়ে এবং রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বালু বাসা এলাকার মাহাবুব আলম কে।এই জঘন্য ঘটনায় মাঝির কাটা এলাকার সমাজসেবক শাহিনুর রহমান ও লেদা পুঁতিয়া কে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ এই ঘটনা যখন সংঘটিত হয় তখন শাহিনুর রহমান দক্ষিণ মাঝির কাটা মসজিদে তারাবির নামাজে ছিলেন এবং লেদা পুঁতিয়া বেলতলি বাজারে নিজের লেবু বেচা বিক্রির কাজে ব্যস্ত ছিলেন।স্বার্থনেষী মহলের সুগভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের কারণে মাঝির কাটা গ্রামের সুনাম যেমন দেশের মানুষের কাছে নষ্ট হচ্ছে তেমনি নিরপরাধ মাঝির কাটার উদীয়মান যুবকগুলো মিথ্যা অপবাধ ও মিথ্যা মামলায় চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।