অক্টোবর ২৫, ২০২৩ ১২:২৬ অপরাহ্ণ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগেও সমর্থকদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি বলেছিলেন, বাকি পাঁচটা ম্যাচে অনেক হিসেব বদলে যেতে পারে। কিন্তু মুম্বাইয়ে যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে বাংলাদেশ, তাতে বাস্তবতা বিচারে সেমিফাইনালের আশা যে শেষ তা বলাই বাহুল্য।
বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার লক্ষ্য পূরণও এখন কার্যত অসম্ভব। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ‘সান্ত্বনার সেঞ্চুরি’ করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও সে কথা স্বীকারই করে নিলেন। তবে কেন এমন ব্যর্থতা? পেছনের মূল পাঁচ কারণ দেখে নেয়া যাক…
ব্যাটিং বিপর্যয়
চলমান বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং বিপর্যয় ছিল চোখে পড়ার মতো। টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতা বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে। স্কোরবোর্ড খেয়াল করলেই তা পরিষ্কার বোঝা যায়। ভারত ম্যাচ ব্যতীত বাকি চারটি ম্যাচেই দলের টপ অর্ডার ব্যর্থ ছিল।
পেসারদের ব্যর্থতা
বিশ্বকাপের আগেও তাসকিন-শরিফুলরা ছিল দুর্দান্ত ফর্মে। অনেকের মতে, সেরা পেস বোলিং লাইনআপ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বকাপে পুরোপুরি হতাশ করেছে টাইগার পেসাররা। শুরুতেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে না পারায় বড় সংগ্রহ পাচ্ছে বড় দলগুলো।
তরুণরা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ
এবারের বিশ্বকাপে বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটারের ওপর দলের প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ। তানজিদ তামিম, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটা দিতে পারছে না। যার প্রভাব পড়ছে দলের পারফরম্যান্সে।
ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে ছেলেখেলা
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা হয়েছে। বিশেষ করে মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের ব্যাটিং পজিশন বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে তাদের পারফরম্যান্সে।
সুযোগ কাজে লাগাতে না পারা
বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে এবং বড় দলগুলোর বিপক্ষে বারবার সুযোগ আসে না। বাংলাদেশ দল সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ। রিয়াদের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম দুই উইকেট বেশ কম রানে ফেলে দেওয়ার পর বোলাররা যদি আরো দু’তিনটে সুযোগ তৈরি করতে পারতেন তাহলে খেলার মোড় ঘুরে যেতো।
