মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখ মানুষ!

আন্তর্জাতিক স্লাইড

জুন ৩, ২০২২ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ

সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সহিংসতার জেরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে মিয়ানমারে। এতে প্রথমবারের মতো দেশটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। সংস্থাটি সতর্ক করে জানিয়েছে, বর্ষা ঘনিয়ে আসার পাশাপাশি যুদ্ধের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।

গত বছর মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন নেত্রী অং সান সু চির এনএলডি সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। পরে সু চিসহ তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদেরও একে একে গ্রেফাতার করা হয়। এ ছাড়া সামরিক অভ্যুত্থানে বাস্তুহারা হয়েছেন বহু মানুষ। সম্প্রতি জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স- ‘ইউএনওসিএইচএ’র প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সহিংসতার জেরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সামিরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির সাত লাখের বেশি মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। আর জান্তা সরকারের চালানো সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও ৩ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে থাইল্যান্ড ও চীন সীমান্তে বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২০১৭ সালে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা।

মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের স্যাগাইন অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তিন লাখ বাসিন্দা। এরইমধ্যে স্যাগাইন ও এর পার্শ্ববর্তী ম্যাগওয়ে শহরে মুঠোফোন সেবা, খাবার, ওষুধ ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা সরকার। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ওই অঞ্চলগুলোয় স্বাস্থ্য পরিষেবা, খাদ্য, ত্রাণসামগ্রী ও আশ্রয়ের জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তবে অঞ্চলটির সংকট নিরসনে সব ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার সেখানে মানবিক সহায়তা প্রস্তাবে রাজি নয়।

অভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় ১২ হাজারের বেশি বেসামরিক সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। এদিকে বর্ষা মৌসুম সামনে রেখে আশ্রয়শিবিরে থাকা এসব মানুষের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে ‘ইউএনওসিএইচএ’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *