উৎসবের নগরী এখন মাদ্রিদ। ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা নিয়ে আনন্দে মেতেছেন রিয়ালের ফুটবলার ও সমর্থকরা। বিমানবন্দর থেকে খোলা বাসে করে ট্রফি প্যারেডে অংশ নিয়েছেন লস ব্লাঙ্কোরা। সেই প্যারেডে ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্সেলো তার বিদায় বক্তব্য রাখেন। সেসময় মার্সেলোর ভাষণ থামিয়ে এমবাপ্পেকে গালাগালি করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকেরা।
এটাই হয়তো নিয়তি। অদৃষ্টের লেখনে এভাবেই হয়তো লেখা ছিল রিয়ালের ভাগ্য। ইউরোপিয়ান সেই লোকগাঁথাটাই আজ সত্যি হয়ে দেখা দিয়েছে লস ব্লাঙ্কো শিবিরে। ফাইনালটা যে খেলতে হয় না, এটা জিততে হয়। এটাই তো মূল মন্ত্র মাদ্রিদের রাজাদের। সুযোগ পেলে ফুটবল নিয়ে গ্যারি লিনেকার তার অমোঘ বাণীটাও হয়তো বদলে নিতেন আজ। জার্মানদের জায়গায় সেখানে বসতো রিয়াল মাদ্রিদের নাম।
এমবাপ্পের শহর থেকে নিজেদের ১৪তম শিরোপা নিয়ে আসা দলটা ছিল ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। কিন্তু, মাদ্রিদের বিমানবন্দরে নামতেই উবে গেলো সব। নতুন উদ্দীপনায় মাতেন ফুটবলাররা। সঙ্গী তাদের কোয়াড্রোডেসিমা জেতানো কার্লো আনচেলোত্তি। খোলা বাসে করে এরপর ট্রফি নিয়ে শুরু হয় তাদের অনন্তের দিকে যাত্রা।
আগেই মার্সেলো জানিয়ে দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ছেন তিনি। তাই এদিন বিদায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি। তবে মার্সেলোর বিদায়ী বক্তৃতার সময় ঘটেছে এক বিব্রতকর ঘটনা।
মার্সেলোর ভাষণ থামিয়ে পিএসজির ফরাসি সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে গালাগাল করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকেরা। মার্সেলো এ সময় হাত তুলে মাইকে গালাগালি থামানোর অনুরোধ জানান। কিন্তু তার অনুরোধ কেউ শুনলে তো! একপর্যায়ে সমর্থকেরা শান্ত হলে মার্সেলো তার বক্তব্য পুনরায় শুরু করেন। বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের এক সপ্তাহ আগে তার রিয়ালে যাওয়া প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল। ক্লাবটির সমর্থকেরা এমবাপ্পেকে নিজেদের খেলোয়াড় ভাবতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিপুল অংকের টাকায় পিএসজিতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা। এ কারণেই তার ওপর ক্ষেপেছেন রিয়াল সমর্থকেরা।
এদিকে গতকাল সিবেলেসের উৎসব শেষ না করেই আবারও নতুন যাত্রায় নামে রিয়ালের বাস। এবার যে গন্তব্য তাদের আতুর ঘর, বার্নাব্যু। যেখানে বিশাল স্টেজের চারপাশে ৫০ হাজার সমর্থক অপেক্ষায় মার্সেলোর। নিজেদের অ্যারেনায় আসতেই যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ফুটবলাররাও।