বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে দুই টেস্টের মাঝে সবচেয়ে বেশি বিরতির রেকর্ডটি এত দিন দখলে ছিল সাবেক পেসার নাজমুল হোসেনের। প্রায় ৮ বছরের বিরতি দিয়ে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নেমে সে রেকর্ডটি এখন নিজের করে নিয়েছেন এনামুল হক বিজয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে শুক্রবার (২৪ জুন) টস হেরে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এর আগে সিরিজের প্রথম টেস্টে অ্যান্টিগাতে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা। ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থ মুুুমিনুল হকের স্থলাভিষিক্ত হন বিজয়। যদিও ক্যারিবীয় সিরিজে তিনি এসেছিলেন সাদা বলের সিরিজ খেলতে। কিন্তু ব্যাট হাতে সাবেক টেস্ট অধিনায়কের ব্যর্থতা ও ইয়াসির রাব্বির ইনজুরি নতুন করে তার সাদা পোশাকের ভাগ্য খুলে দেয়।
আর তাতেই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিরতি কাটিয়ে মাঠে ফিরে তিনি গড়েন রেকর্ড। বিজয় সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০১৪ সালে, এই সেন্ট লুসিয়াতেই। আর ঠিক ৭ বছর ৯ মাস ১১ দিন পর আবার এই সেন্ট লুসিয়াতেই সাদা পোশাকে প্রত্যাবর্তন হলো তার। এর আগে বাংলাদেশের দীর্ঘতম বিরতি ছিল পেসার নাজমুল হোসেনের। ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর অভিষেক টেস্ট খেলার পর নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেছেন তিনি ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ সালে, ঠিক ৭ বছর পর।
টেস্ট ইতিহাসে অবশ্য দীর্ঘ বিরতি দিয়ে মাঠে ফেরার রেকর্ডটা অ্যাথানাসিওস জন ট্রেইকসের। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৯৭০ সালে অভিষেক টেস্ট খেলা এই মিসরীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার ২২ বছর ২২২ দিনের বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় বার টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামেন জিম্বাবুয়ের হয়ে। আধুনিক ক্রিকেটে এই রেকর্ডটা অবশ্য দখলে রেখেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার গ্যারেথ বাটি। ২০০৩ সালে বিরতিতে যাওয়ার পর তিনি পরবর্তী ম্যাচ খেলতে মাঠে নামেন ১১ বছর ১৩৭ দিন পর।
এদিকে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রত্যাবর্তনটা রাঙাতে পারেননি বিজয়। এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন ৩৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে। বিজয় অবশ্য আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। রিভিউয়ে দেখা যায় অ্যান্ডারসন ফিলিপের করা বলটি ব্যাটের আগে তার পায়েই স্পর্শ করে। লাইন অনুযায়ী বলও ছিল স্টাম্প বরাবর।
এদিন অবশ্য অন্য ব্যাটাররাও আলোর ফুলকি ছড়াতে পারেননি। লিটন দাসের ৫৩ ও তামিম ইকবালের ৪৬ রানের ইনিংস ছাড়া বলার মতো স্কোর নেই আর কারো। শেষদিকে দুই পেসার এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলামের ব্যাটের ওপর ভর করে প্রথম ইনিংস ২৩৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন জেইডন সিলস ও আলজারি জোসেফ। ২টি করে উইকেট নিজেদের ঝুলিতে পুরেছেন কাইল মায়ার্স ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ।