বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) তথ্য বলছে, বিশ্বের ৫২টি দেশ ও অঞ্চলে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত (ল্যাবে নিশ্চিত হওয়া) রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩২৩ জনে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), ইউরোপীয় সিডিসি এবং সরকারি উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে আগের তুলনায় মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। দেশটিতে মাত্র ৪ দিনে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ জনে।
অন্যদিকে ডব্লিউএইচও ইউরোপের তথ্য বলছে, এ অঞ্চলে গত দুই সপ্তাহে সংক্রমণের হার তিনগুণ বেড়েছে। শুক্রবার (১ জুলাই) পর্যন্ত ইউরোপের ৩১টি দেশে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত সাড়ে ৪ হাজার রোগী সনাক্ত হয়েছে।
ডব্লিউএইচও ইউরোপের প্রধান হেনরি ক্লুগ বলেন, ‘এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে জরুরি এবং সমন্বিত পদক্ষেপ অপরিহার্য।’ ইউরোপে মাঙ্কিপক্সের বিস্তারকে ‘জরুরি পরিস্থিতি’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ইউরোপ হলো মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল। কারণ, নিশ্চিত হওয়া মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীর ৯০ শতাংশই এ অঞ্চলের। চলতি বছরের ১৫ জুন থেকে এ পর্যন্ত ইউরোপে নতুন সংক্রমণ বেড়েছে তিনগুণ।
এদিকে ‘গ্লোবাল ডট হেলথ’-এর তথ্য বলছে, শুক্রবার (১ জুলাই) পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৯৯ জনে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্স বসন্তের একটি বিশেষ ধরন। সংক্রামক হলেও রোগীর সংস্পর্শে না এলে এই রোগ ছড়ায় না। বিভিন্ন বানর জাতীয় প্রাণীর মাধ্যমে এটি ছড়ায়। এ ছাড়া শ্বাসনালি, শরীরে তৈরি হওয়া কোনো ক্ষত, নাক কিংবা চোখের মাধ্যমেও অন্যের শরীরে প্রবেশ করতে পারে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ভাইরাস সম্পর্কে সবাইকে বিস্তারিত জানতে আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। কীভাবে মাঙ্কিপক্স ছড়াচ্ছে তা চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়েও জোর দিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া ভাইরাসটির বিরুদ্ধে কার্যকর অ্যান্টিভাইরাল ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।