মাগুরায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ৩য় পর্যায়ের জমিসহ গৃহ হস্তান্তর শুভ উদ্বোধনে প্রেস ব্রিফিং

দেশজুড়ে

এপ্রিল ২৫, ২০২২ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

শাহিন খন্দকার, মাগুরা

মাগুরায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৩য় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার ২৫ এপ্রিল ২০২২ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৩ টার সময় জেলা প্রশাসন, মাগুরা এর আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ, মাগুরায় প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসনে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম। সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য অফিসার মো. রেজাউল করিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এডিসি জুলিয়া সুকায়না, মাগুরা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াছিন কবীর, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিউজা উল জান্নাহ, শালিখা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. তারিফ উল হাসান, মহম্মদপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল, মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি এইচ এন কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী, শালিখা প্রেসক্লাবের নওয়াব আলী, শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুসাফির নজরুল ইসলাম সহ ৪ উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দগণ। বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না ” -মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে । এই কার্যক্রমের আওতায় সারাদেশে তৃতীয় পর্যায়ে মোট ৩২৯০৪ টি একক গৃহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখ মঙ্গলবার বেলা ১১.০০ ঘটিকায় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে । উপকারভোগী পরিবারের নিকট ঈদ উপহার হিসেবে উক্ত গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন । উদ্বোধনকালীন সময়ে বরগুনা সদর উপজেলা , সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা , ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা এবং চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার উপকারভোগীদের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি যুক্ত থাকবেন । দেশের অন্যান্য উপজেলা এ সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি গণভবনের সাথে সংযুক্ত থাকবে। প্রতিটি উপজেলায় উদ্বোধনকালীন সময়ে স্থানীয় মাননীয় মন্ত্রী / প্রতিমন্ত্রী / উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাংবাদিকবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় মাগুরা জেলায় এই কার্যক্রমের আওতায় মোট ২৬৮ টি গৃহ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ২০২ টি গৃহ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে । এর মধ্যে মাগুরা সদরে ৫২ টি, মহম্মদপুরে ৪৩ টি, শালিখায় ৬৭ টি এবং শ্রীপুর উপজেলায় ৪০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই ২০২ টি ঘর ২০২ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের অনুকূলে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন করা হয়েছে এবং প্রতিটি পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমি নামজারি করে দেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পরই স্থানীয়ভাবে সকল উপকারভোগীদের নিকট তাদের গৃহ হস্তান্তর করা হবে। উল্লেখ্য মাগুরা জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন মোট ৭৭৫ টি পরিবারকে এ প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইত : পূর্বে মাগুরা জেলায় ১ ম পর্যায়ে ১১৫ টি এবং ২ য় পর্যায়ে ১৯৫ টি মোট ৩১০ টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীনদের অনুকূলে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৩ য় পর্যায়ে ২৬৮ টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া পাওয়া গিয়েছে এবং ২০২ টি ঘরের নির্মাণ করা সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ ম , ২ য় ও ৩ য় পর্যায়ে মোট ৫১২ টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে প্রতিটি পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপহার হিসেবে জমির দলিল, খারিজকপি, সার্টিফিকেট ও চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে মাননীয় মন্ত্রী / প্রতিমন্ত্রী / উপমন্ত্রী , সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকবৃন্দ হস্তান্তর করবেন। আগামী ২৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি প্রত্যেক উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্ব স্ব অনুষ্ঠান সঞ্চালন করবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ স্থানীয় মাননীয় মন্ত্রী / প্রতিমন্ত্রী / উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাংবাদিকবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের মাধ্যমে উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ -২ প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাবিখা কর্মসূচীর অধীনে মাগুরা জেলার ২৬৮ টি ঘরের বাজেট প্রদান করা হয়। প্রতিটি গৃহের ব্যয় বাবদ বরাদ্দ ছিল ২,৫৯,৫০০ / – ( দুই লক্ষ উনষাট হাজার পাঁচশত ) টাকা । প্রতিটি ঘরের আয়তন ৩৯৪ বর্গফুট। বসবাসের ০২ ( দুই ) কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহে একটি টয়লেট এবং ইউটিলিটি স্পেস রয়েছে। প্রতিটি ঘরের সামনেই নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কিছু জায়গা রয়েছে। সারাদেশে এক এবং অভিন্ন নকশায় এবং একই বাজেটে প্রতিটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আসুন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে ক্ষুধামুক্ত , দারিদ্রমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *