ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল রাশিয়ার বেলগোরোদ

আন্তর্জাতিক স্লাইড

মে ২, ২০২২ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেন সীমান্তবর্তী দক্ষিণ রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে সোমবার (২ মে) ভোরে বড় ধরনের দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।

সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছেন বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর ইয়াচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ। খবর আলজাজিরার।

গভর্নর ইয়াচেস্লাভ বলেন, বেলগোরোদের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা সামাজিক মাধ্যমে বিস্ফোরণের শব্দসহ ভিডিও পোস্ট করেছেন। তবে এই বিস্ফোরণে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার বেলগোরোদ শহরে গত বুধবার (২৭ এপ্রিল) ভোরেও সিরিজ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। টেলিগ্রাম বার্তায় এ তথ্য জানান বেলগোরোদের আঞ্চলিক গভর্নর। তবে বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর বেলগোরোদ অঞ্চলে গোলাবর্ষণ ও বিস্ফোরণ নতুন কিছু নয়। ইউক্রেনের সেনারা চলতি মাসে হেলিকপ্টার দিয়ে বেলগোরোদের একটি জ্বালানি ডিপোতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ আছে রাশিয়ার। এ ছাড়া অঞ্চলটির বেশ কয়েকটি গ্রামে গুলি চালানোরও অভিযোগ রয়েছে কিয়েভের বিরুদ্ধে।

এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনে গোলাবর্ষণ করে নিজের বেসামরিক নাগরিকদের হতাহত করছে ইউক্রেন। রোববার (১ মে) এমন অভিযোগ করেছে রাশিয়া।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল গুড়িয়ে দিচ্ছে রুশ সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া মারিউপোলের আজভাস্তাইল ইস্পাত কারখানা থেকে বেসামরিক নাগরিকরা নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর বলছে, ৯ সপ্তাহের সামরিক অভিযানে রাজধানী কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মনোযোগ দিয়েছে মস্কো। এ হামলায় ইউক্রেনের শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০ লাখ ইউক্রেনীয় প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন।

রুশ সামরিক বাহিনী খেরসন দখল করার মধ্য দিয়ে অধিকৃত ক্রিমিয়া থেকে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে ১০০ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। বন্দরনগরী মারিওপোলের অধিকাংশই এখন রুশ বাহিনীর দখলে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, খেরসনের কিসেলিভকা ও শিরোকা বারখা গ্রামে স্কুল, কিন্ডারগার্টেন ও সমাধিতে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। যদিও অভিযোগ প্রমাণে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

গেল ২১ এপ্রিল মারিউপোলে বিজয় ঘোষণা করে পুতিন বাহিনী। আজভাস্তাইল ইস্পাত কারখানায় এখনো লুকিয়ে আছেন শত শত সেনা সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক। তাদের নিরাপদে বের করে নিয়ে আসতে একটি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *