ব্ল্যাকউডকে বাঁচাতে আফ্রিকার জঙ্গলে সশস্ত্র সেনা মোতায়েন

ব্ল্যাকউডকে বাঁচাতে আফ্রিকার জঙ্গলে সশস্ত্র সেনা মোতায়েন

ফিচার স্পেশাল

আগস্ট ১৯, ২০২৩ ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বে কখনো কখনো সাধারণ জিনিসগুলো এতটাই অসাধারণ এবং ব্যয়বহুল হয় যে তাদের মূল্য বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে।

কিন্তু আপনি কি কখনো সবচেয়ে মূল্যবান উদ্ভিদের কথা শুনেছেন? অর্থাৎ এমন একটি উদ্ভিদ যখন এটি গাছে পরিণত হয়, তখন তার কাঠের মূল্য এত বেশি হয় যে যার ১০ কেজি কাঠের মূল্য হয় প্রায় এক কোটি টাকা!

ছবি: অন্তর্জাল

ছবি: অন্তর্জাল

গাছটির নাম আফ্রিকান ব্ল্যাকউড, এটি বিরল প্রজাতির মধ্যে একটি। এই উদ্ভিদটি একটি পূর্ণাঙ্গ বৃক্ষে পরিণত হতে অন্তত ৫০ বছর সময় লাগে। এটি বিশ্বের ২৬টি দেশে পাওয়া যায়। মূলত এটি আফ্রিকা মহাদেশের মধ্য ও দক্ষিণ অংশে বেশি পাওয়া যায়। এসব গাছের উচ্চতা প্রায় ২৫ থেকে ৪০ ফুট হয়ে থাকে। যেহেতু এই গাছের সংখ্যা খুবই সীমিত এবং তাই এর দাম আকাশচুম্বী।

আমরা যে আফ্রিকান ব্ল্যাকউড কাঠের কথা বলছি তার দাম প্রতি কেজিতে প্রায় ৮ লাখ টাকা অর্থাৎ এই কাঠের এক কিলোর দামে আপনি একটি ভালো ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনতে পারেন। অথবা আপনি আপনার পরিবারের সঙ্গে বিশ্বভ্রমণে বের হতে পারেন। আপনি যদি ৫ থেকে ১০ কেজি কাঠ বিক্রি করেন তবে আপনি একটি বিলাসবহুল বাড়িও বানাতে পারেন।

আফ্রিকান ব্ল্যাকউড কাঠ দিয়ে বেশিরভাগ দামি পারফিউম, সাবানে তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, এছাড়া বাঁশি এবং গিটারের মতো বাদ্যযন্ত্র তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও অনেক দামি দামি আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। তবে এই কাঠ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। কেবল ধনীরাই তাদের ঘরকে আরো সুন্দর দেখাতে এই কাঠের আসবাবপত্র ব্যবহার করেন।

অতিরিক্ত ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে আফ্রিকান ব্ল্যাকউড গাছগুলো এখন চোরাচালানকারীদের নজরে পড়েছে, তাই গাছগুলো সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার আগেই কেটে ফেলে। চন্দন কাঠের মতো অবৈধ পাচারের কারণে এখন এসব গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাই ব্ল্যাকউডকে বাঁচাতে আফ্রিকার জঙ্গলে সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *