মোঃ আব্দুল হান্নান
আসন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হবে আগামী ১৭ অক্টোবর।নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামিলীগ সমর্থিত প্রার্থী আল-মামুন সরকার ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুল আলম এম এস সি প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন।নির্বাচনে আল মামুন সরকারের চেয়েও জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্থানে রয়েছেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম এমএস.সি।
তিনি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে মোটরসাইকেল প্রতীক অপর দিকে আল মামুন সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।১৪ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম এর কাছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী পদে শফিকুল আলম এমএসসির পক্ষে তার ছোট ভাই শাহ আলম মনোনয়নপত্রটি জমা দিয়েছিলেন। পরবর্তীর্তে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষনা করে মোটরসাইকেল প্রতিক বরাদ্দ করেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি উপজেলায় প্রচার-প্রচারণায় যথেষ্ট সাড়া পেয়েছেন শফিকুল আলম এমএসসি। ভোটাররা আবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে শফিকুল আলম এমএসসিকে দেখতে চাচ্ছেন। দল সমর্থন না দিলেও স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে ভোটারদের কাছ থেকে যথেষ্ট সমর্থন ও পাচ্ছেন তিনি বলে বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে। জানা গেছে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আল-মামুন সরকার থেকে অনেক এগিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী শফিকুল আলম এমএসসি।
এদিকে আওয়ামিলীগ সমর্থিত প্রার্থী আল-মামুন সরকার প্রচার-প্রচারণায় নেমেও তেমন ফল পাচ্ছেন না। তারপরও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন সুত্রে জানা গেছে আল-মামুন সরকার প্রচার-প্রচারণায় গিয়ে শফিকুল আলম এমএসসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবান্তর মন্তব্য ছড়ানোর ও অভিযোগ উঠেছে।
জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম এমএস.সি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিটি এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং জেলাকে একটি আধুনিক ও ডিজিটাল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্মানিত ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উন্নয়ন এবং জেলা পরিষদের অসমাপ্ত কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে অবশ্যই অতীতের মতো আবারও আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
