বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ম্যাচ হয়েছে কিন্তু সাকিব আল হাসানকে দেখেননি। শেষ কবে দেখেছেন এমন দৃশ্য। ক্রিকেটপ্রেমীরা হয়তো একটু চিন্তায় পড়ে গেছেন কারণ। কাল সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ম্যাচ ২০০৭ সালের আগে হয়েছে।২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ছিল এই ভারতের বিপক্ষে। সেদিন খেলেছিলেন বাংলাদেশের তিন তরুণ। তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিমের পাশাপাশি ছিলেন সাকিব আল হাসান।
সেই ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে নিয়মিত মুখ হয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০১১ সালে আবার ছিলেন অধিনায়ক। আর ২০১৯ বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। মাঝে ১৬ বছর কেটে গেলেও আজকের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলা হয়নি সাকিবের।
মাঝের ১৬ বছরে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবকটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। সবশেষ ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে সাকিবকে ছাড়া কোনো ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তখনও অভিষেকই হয়নি এই অলরাউন্ডারের অলরাউন্ডারের।
অবশ্য বিশ্বকাপে সব ম্যাচ খেললেও বিগত ৫ বছরে বিভিন্ন কারণেই অনুপস্থিত ছিলেন সাকিব আল হাসান। শেষ ৫ বছরে সাকিবকে ছাড়া ২৫ ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে ১২ জয়ের বিপরীতে পরাজয়ের সংখ্যা ১৩টি। আর সাকিব খেলেছেন এমন ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১৯ বার আর জিতেছে ৩০ বার। জয়ের হার ৬১ শতাংশের বেশি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাংসপেশীতে চোট পেয়েছিলেন সাকিব। গেল কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছিল তাকে ঘিরে। তবে শেষ পর্যন্ত সাকিবকে ছাড়াই মাঠে নেমেছে টাইগাররা। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের না থাকা দলের জন্য বড় ধাক্কা।
সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নাসুম আহমেদ। দলে বোলিং ইউনিটে ভারসাম্য আনতেই নেওয়া হয়েছে তাকে। এছাড়া বাংলাদেশ দলে এসেছে আরও এক পরিবর্তন। পেসার তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে দলে এসেছেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ।