ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩ ২:৪৬ অপরাহ্ণ
রিপন মজুমদার জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালী কবিরহাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এসএম ফারুকের স্বরণে শোকসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তার কনিষ্ঠ কন্যা আকলিমা আক্তার ইতি তার বাবার মৃত্যুর জন্য হাসপাতালকে দোষারোপ করছেন ।
তিনি বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট দায়ী, সেখানে আমার বাবার সঠিক চিকিৎসা হয়নি। রাতে বাবার ব্যাথা বেড়ে গেলে বার বার ডাকার পরও ডাক্তার আসেনি, নার্সরা বলেছেন ডাক্তার নাই।
পরে মধ্যরাতে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আবার হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসি। পরের দিন সকাল ১১টার পর ডাক্তার আসে। আমার বাবা মৃত্যুর আগে সাংবাদিকদের ও আমাদের বলে গেছেন, চিকিৎসার অভাবে আমার যদি মৃত্যু হয়, তার জন্য হৃদরোগ হাসপাতাল দায়ী হবে। আমরা ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
গতকাল বিকেলে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা হলরুমে পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হানের সভাপতিত্বে ও পৌর সচিব এমাম হোসেনের সঞ্চালনায় শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, কবির হাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নাসির উদ্দিন বাদল, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি তাজুল ইসলাম মানিক ভূঁইয়া, কবিরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জহিরুল হক জহির, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি ও দৈনিক মানবকন্ঠ প্রতিনিধি রিপন মজুমদার, সেনবাগ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের, একুশে টেলিভিশন’র নোয়াখালী প্রতিনিধি আরেফিন শাকিল, চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান টিটু, বাটইয়া চেয়ারম্যান শাহীন ও কামাল উদ্দিন কোং,এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিক বিন্দুরা এবং কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে মরহুম এসএম ফারুকের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
প্রসংগত, সাংবাদিক এসএম ফারুক গত ১১ ফেব্রুয়ারী ভোরে ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি জাতীয় দৈনিক সোনালী বার্তার নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ৩ সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে কবিরহাট সহ পুরো জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।