জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ ১২:১৮ অপরাহ্ণ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারি গোপন নথি দ্বিতীয় আরেকটি স্থানে পাওয়া গেছে। প্রথম দফা রাষ্ট্রীয় গোপন নথি পাওয়া যায় তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ব্যবহৃত তার ওয়াশিংটন ডিসির ব্যক্তিগত অফিসে।
এই ঘটনা হোয়াইট হাউজের রাজনৈতিক লজ্জা আরও বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এদিকে নথি উদ্ধারের ঘটনা ও প্রাপ্ত নথিগুলো খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়।
দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন গোপনীয় নথি সুরক্ষিত রাখার আইন লংঘনের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি সেসময় বাইডেনের কার্যালয় থেকে পুরনো নথি পাওয়ার এ ঘটনা ডেমোক্র্যাট পার্টির কর্মী-সমর্থকদের চোখ কপালে তুলে দিয়েছে।
বাইডেনের সহযোগীরা দ্বিতীয় দফায় যে গোপন নথিগুলো পেলেন, সেটি কখন, কোথায় মিলল তা পরিষ্কার জানা যায়নি।
হোয়াইট হাউজের কাছে অবস্থিত থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পেন বাইডেন সেন্টার থেকে নভেম্বরে ১০টির মতো গোপন নথি পাওয়া গেলেও ওই উদ্ধারের ঘটনা চলতি সপ্তাহেই আলোর মুখ দেখে।
ওই নথিগুলোতে ইউক্রেন, ইরান ও যুক্তরাজ্য সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য ও ব্রিফিং ছিল বলে জানা গেছে।
হোয়াইট হাউজ এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় পাওয়া গোপন নথির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে বুধবার বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জঁ-পিয়ের তার দৈনন্দিন ব্রিফিংয়ে প্রথম দফায় পাওয়া গোপন নথি বিষয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি।
“এটা এখন বিচার মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনায় আছে। গতকাল প্রেসিডেন্ট এ প্রসঙ্গে যা বলেছেন, আমি তার চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না,” বলেছেন তিনি।
আগের দিন মঙ্গলবার বাইডেন তার এক সময়ের ব্যবহৃত কার্যালয় থেকে সরকারি গোপন নথি পাওয়ার ঘটনায় ‘বিস্মিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বিচার মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনায় তিনি ‘সহযোগিতা’ করছেন।
এমন এক সময়ে হোয়াইট হাউজ এ বিতর্কে জড়াল যখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের দখল নেওয়া রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের নানান পদক্ষেপ যাচাই বাছাইয়ে বদ্ধপরিকর।
প্রতিনিধি পরিষদের ওভারসাইট কমিটির নতুন চেয়ারম্যান জেমস কমার বলেন, “এখন ওয়াশিংটনে ডেমোক্র্যাটদের একদলীয় শাসন নেই। তাদের কাজের তদারকি ও জবাবদিহিতাও আসছে।”
কমিটি এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে, তারা নভেম্বরে প্রাপ্ত গোপন নথি এবং এ সংক্রান্ত তারবার্তা তাদের কাছে জমা দিতে হোয়াইট হাউজকে অনুরোধও করেছে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, গোপন নথি পাওয়ার পরপরই তারা এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল আর্কাইভকে জানিয়েছে, আর্কাইভ পরদিন সকালে সেগুলো নিয়েও গেছে।
বারাক ওবামার অধীনে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়কালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসব নথি ঠিক কি ভাবে বাইডেনের অফিসে এগুলো এসেছে তা স্পষ্ট নয়।
রাষ্ট্রীয় গোপন নথিতে বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে সীমিত সংখ্যক মানুষের প্রবেশগম্যতা রয়েছে। এগুলো কীভাবে রাখতে এবং সংরক্ষণ করতে হবে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি