বর-কনে পোশাকে বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইনে শীর্ষে রয়েছে জেকে ফরেনব্র্যান্ড

শিল্প ও সংস্কৃতি

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ ১০:৫৩ অপরাহ্ণ

মোহাম্মদ আল এমরান।

ভিন্নধর্মী বর-কনে পোশাক ডিজাইনিং নিয়ে বাংলাদেশে হাতে ঘোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে জেকে ফরেনব্র্যান্ড। পাশ্ববর্তী ভারতের শীর্ষ ফ্যাশন ডিজাইনিং কোম্পানীগুলোর আধুলে গড়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে এই ডিজাইনিং ব্র্যান্ড কোম্পানী। হাঁটি হাঁটি পা পা করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সফল উদ্যোক্তার ফ্যাশন ডিজাইনিং কোম্পানী হতে প্রস্তুত রয়েছে কোম্পানীর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল উদ্যমী মানুষগুলো। দেশে-বিদেশে বর-কনে পোশাকে বৈচিত্র্যতা দেখিয়ে বর্তমানে খ্যাতির চূঁড়ায় রয়েছে এ ব্র্যান্ডটি। যার শুরু ছিল ক্ষুদ্র শিল্প দিয়ে, পথ পরিক্রমায় এই ফ্যাশন ডিজাইনিং কোম্পানীটি এখন মাঝারি শিল্পে পরিনত হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ডিজাইনিং শিল্পের ক্রমধারায় বিকাশিত প্রজ্জ্বলনের জয়ত্রী হিসেবে বর্তমান ফ্যাশন ডিজাইনিং এ ভিন্নমাত্রার সংকলন তৈরি করেছে এটি।

ডিজাইনিং জগতে শীর্ষ অবস্থান ধরতে প্রতিষ্ঠানের শুরুতেই সফলতার হাতছানি পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ফ্যাশন ডিজাইনিং এ আলোচিত মুখ ফ্যাশন ডিজাইনার ওমর ফয়সাল মৃত্তিক। স্বপ্ন ছিল নিজেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং জগতে সফলতার সাথে  পরিচিত করানো। তাইতো তিনি পড়াশুনাটাও করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিং এর উপর। যার ছাপ রাখতে ২০১৩ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে পোষাক ডিজাইনিং এ কাজ শুরু করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্টার্ট-আপ ডিজাইনার থেকে হয়ে উঠেন নামিদামি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। ফ্যাশন ডিজাইনিং এ সফলতাস্বরূপ লুফে নিয়েছেন এশিয়ান এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২। উদ্যোক্তা সফল বাস্তবধর্মী, ফ্যাশন প্রেমী ও তার রুচিশীল ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই এই ডিজাইনিং কোম্পানী জেকে ফরেনব্র্যান্ড নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ফ্যামিলি ব্যবসায়ী। ব্যবসা আমার আবেগ অনুভূতির জায়গা। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল একজন ব্যবসা সফল ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব। শুরুতেই মায়ের হাত হতে কিছু টাকা নিয়ে শুরু করে দেই পোশাক ডিজাইনিং। ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু, শুরুটা ছিল বনানী ৮ নং রোডে, সফলতা পেয়েছি সেখান থেকে। বর্তমানে বনানী ১১ নং রোডের ঠিক লেক ব্রীজের কাছাকাছি সুজ্জিত শো-রুম রয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পোশাক ও নিজস্ব ডিজাইনিং পণ্যের বৈচিত্র্যতার জন্য ব্র্যান্ডটির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশে-বিদেশে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে কোনো সুবিধা নিয়েছেন এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এআইবিএল হতে বিনিয়োগ নিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, ব্যবসার শুরু থেকেই আল- আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি আমার কোম্পানীকে বিনিয়োগ সুবিধা দিয়েছেন। সফল উদ্যোক্তা হিসেবে এ অবস্থানে আমার সারথী হয়েছেন এআইবিএল। এআইবিএল কর্তৃপক্ষকে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি অনেক আগে থেকে এআইবিএল হেমায়েতপুর, সাভার শাখার একজন গ্রাহক। আমার বাড়ি সাভারে, হেমায়েতপুর হতে আমার বিনিয়োগটি বনানী শাখায় নিয়ে আসি। বনানী শাখা হতে বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে আমি সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি।

ওয়েডিং কালেকশন নিয়ে পোশাক শিল্পে আপনার অগ্রযাত্রার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে বিয়ে তো হচ্ছে। বিয়ের পাত্র-পাত্রীর পছন্দের তালিকায় রয়েছে লেহেঙ্গা, সারারা, গারারা। বিয়ের পোশাকে ইন্ডিয়ান, মিডেল-লিস্ট ফ্যাশনকে প্রাধান্য দিচ্ছে এদেশের বর-কনে। এক্ষেত্রে ডিজাইনিং এ আলাদা বৈচিত্র্য নিয়ে এসেছি। তাইতো আমাদের দেশের ফ্যাশনের সাথে ওয়েস্টার্ন, ইন্ডিয়ান ফ্যাশনকে কম্বিনেশন করে নতুন কালেকশন নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে আমাদের জেকে ফরেনব্র্যান্ড, যা এই শিল্পে আমাকে ব্যাপক সাফল্য এনে দিয়েছে।

ফেইজবুক পেইজে আপনার জেকে ব্র্যান্ডের ৪১৫ কে লাইক রয়েছে। কাস্টমারের আগ্রহের জায়গা হতে জেকে ফরেন ব্র্যান্ড তাদের অন্যতম ব্র্যান্ড তার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি দুই বছরের অভিজ্ঞতার পর থেকেই কাস্টমারদের কাছে আস্থা ও গ্রহনযোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, জেকে ফরেনব্র্যান্ড প্রিমিয়াম মানের পোশাকের সমাধান। এখানে বর-কনের কালেকশনসহ লেহেঙ্গা, পাঞ্জাবি, স্যুট, গ্রাউন, শাড়ি, লেডিস পার্টি ওয়্যারস্, কুর্ত্রি, কটি সুলভ মূল্যে বিক্রয় করে থাকি। আমাদের এখানে বিয়ের কালেকশনে মেহেন্দি পার্টি থেকে শুরু করে সব কিছুই পাওয়া যায়।

ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে আপনার আইকনের কথা জানতে চাইলে ভারতের পোশাক শিল্পের বিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইনিং কোম্পানী ও ফ্যাশন ডিজাইনারকে ফলো করেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি ফ্যাশন ডিজাইনিং এ ভারতের বিশ্ববিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড জেনেসিস লাক্সারি ফ্যাশন, সব্যসাচী কউচার, মনীশ মালহোত্রা ডিজাইন ষ্টুডিও কে আইকন হিসেবে দেখছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *