প্রবৃদ্ধিতে ভারত-চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: আইএমএফ

প্রবৃদ্ধিতে ভারত-চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: আইএমএফ

জাতীয় স্লাইড

মে ৬, ২০২৩ ২:৩৯ অপরাহ্ণ

আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫%, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানের দিক থেকে দ্বিতীয়। ৬.৯% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে যথাক্রমে ৪.৫% ও ৬.৩%।

চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। এছাড়া আগামী অর্থবছরে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। ওই বছরে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে চীন ও ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত “রিজিয়নাল ইকোনমিক আউটলুক মে ২০২৩” শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন প্রতিবেদনটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সময় তিনি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৫%, চীনের হবে ৫.২%। ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৯%। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হচ্ছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি। তবে অন্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৫%, মালয়েশিয়ার ৪.৫%, মিয়ানমারের ২.৬%, নেপালের ৪.৪% এবং থাইল্যান্ডের ৩.৪% প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার কোনো প্রবৃদ্ধি হবে না। তবে তা নেতিবাচক ৩% হবে। আগামী অর্থবছরে দেশটি প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে। ওই বছরে তাদের প্রবৃদ্ধি ১.৫% হতে পারে।

চীন ও ভারতসহ আরও অনেক দেশের অর্থনীতির আকার বাংলাদেশের চেয়ে বড়। শুধু বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকছে।

আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫%, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানের দিক থেকে দ্বিতীয়। ৬.৯% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে। চীনের হবে ৪.৫%, ভারতের ৬.৩%। অন্য সব দেশের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক জিডিপিতে এশিয়ার অবদান হবে ৭০%। এর মধ্যে চীনের এককভাবে ৩৪.৯%, ভারতের ১৫.৪%, বাংলাদেশের ১.৮%, মধ্যপ্রাচ্যের ৭.৮%, ইউরোপের ৭.১%, আফ্রিকার ৪%।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *