প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে বিদ্যালয়ের ও সরকারী খাসপুকুর ভরাট করে নিজেদের দখলে নিয়ে ঘরবাড়ি আর দোকানপাট তৈরীর চেষ্টা স্থানীয় প্রভাবশালীদের

দেশজুড়ে

ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ ৫:৪০ অপরাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগরঃ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপড়তলা ইউনিয়নের চাপড়তলা সৈয়দ কামরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষক মোঃ সানাউল আমিন ভুইয়াকে তাদের দখলে নিয়ে উক্ত পুকুরটি ভরাট করে ঘরবাড়ি আর দোকানপাঠ নির্মানের চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা।

পুকুর ভরাট বন্ধের বিষয়ে পুকুরপাড়ের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ মুজিবুর রহমান আর সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগও দাখিল করেছেন।তাদের অভিযোগে জানা গেছে পুকুরটি ভরাট করা হলে বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার ছাত্র/ছাত্রী পানি সংকটে পড়বে।তাছাড়াও বাজার ব্যবসায়ী আর এলাকার স্থানীয়রা ও পড়বে মহা বিপদে।কোন কারনে এলাকায় অগ্নিসংযোগের গঠনা ঘটলে পানিসংকট দেখা দিবে।

জানা গেছে প্রভাবশালীরা প্রধান শিক্ষক সানাউল আমিন ভুইয়া,ম্যানেজিং কমিটি,দাতা সদস্য ও এলাকার কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে পুকুরে ড্রেজার বসিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুরের ভেতরে থাকা সরকারী বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে ও পুকুরের পাড়ে থাকা গাছপালা কর্তন করতে শুরু করেছে।তারা বিদ্যালয়ের পুকুর পাড়ের বেশ কিছু গাছও কর্তন করে নিয়ে গেছে।

মুজিবুর রহমান আর সিরাজুল ইসলামেন অভিযোগের ভিত্তিতে ও খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করেন।পরে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশে তারা সেখান থেকে ভেকু মেশিন নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হন।
অভিযোগকারী মুজিবুর রহমান,সিরাজুল ইসলাম,সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবু ছালেক,ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান সহ স্থানীয় আরো বেশ কিছু লোকজন জানায়,পুকুরটি ভরাট করা হলে অত্র বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার ছাত্র/ছাত্রীর জন্য হাত মুখ ধৌত করা,বাজার ব্যবসায়ীদের পানি সংগ্রহ করা,স্থানীয় কৃষকদের গরু বাছুর ধৌত করা এমনকি এলাকায় যদি কোন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে তাহলে পানি পাওয়া সম্ভব হবে না।

ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান,গ্রামের প্রভাবশালী সায়েম ভুইয়া স্কুলের দাতা সদস্য মৃত জজ মিয়ার ছেলের কাছ থেকে গোপনে চুরি করে ৫ শতক জায়গার পরিবর্তে ৩০ শতক জায়গা দলিল করে নিয়ে আরো কয়েকজন প্রভাবশালীর সহযোগিতা এমন জগন্য কাজ করছেন।

প্রভাবশালী সায়েম ভূইয়ার সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি।সায়েম ভূইয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাদিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সাংবাদিক আসছে শুনে প্রধান শিক্ষক দ্রুত বিদ্যালয় এলাকা ত্যাগ করে চলে যান।এ সময় প্রধান শিক্ষক্ষ মোঃ সানাউল আমিনের সাথে তার মুঠোফোনে ফোন করে পুকুর ভরাট,পুকুরের পাড়ের গাছকর্তন আর বাউন্ডারী ওয়াল ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আপনি কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, না।কেন আপনি কোন আইনি পদক্ষেপ নিলেন না? একথা বলার সাথে সাথেই তিনি লাইন কেটে দেন।
চাপড়তলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি বলেন খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।পরবর্তীতে ইউ,এন,ও স্যার আর ডিসি স্যারের সাথে কথা বলে তাদের বিরোদ্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *