প্রথমবার ৫০ শতাংশের নিচে খ্রিস্টান জনসংখ্যা, দ্রুত বাড়ছে মুসলিম!

প্রথমবার ৫০ শতাংশের নিচে খ্রিস্টান জনসংখ্যা, দ্রুত বাড়ছে মুসলিম!

আন্তর্জাতিক স্লাইড

নভেম্বর ৩০, ২০২২ ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ

প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ৫০ শতাংশের নিচে খ্রিস্টান জনসংখ্যা নেমে এসেছে। একইসঙ্গে দুটি রাজ্যে দ্রুত হারে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত আদমশুমারি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর জানায়, ২০২১ সালে ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি করা হয়। সেই শুমারিতে দেখা যায়, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে দ্রুত মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে খ্রিস্টান ধর্মের পরই ‘ধর্ম নেই’ অনুসারীর জনসংখ্যা বেশি রয়েছে।

ধর্ম নিরপেক্ষতার যুগে ইয়র্কের ধর্মযাজক স্টিফেন কটরেল জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খ্রিস্টানের সংখ্যা কমার ব্যাপারে বড় আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু তিনি বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং যুদ্ধের মুখোমুখি ইউরোপে এখনো আধ্যাত্মিক উপস্থিতি প্রয়োজন।

এ ধর্মযাজক বলেন, আমরা খাদ্য ও উষ্ণতাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের কাছে আসব। এই ক্রিসমাসে লাখ লাখ মানুষ আমাদের সেবার জন্য আসবেন। এই সময়ে আমরা আমাদের অবস্থান ছাড়িয়েও নজর দেব। আমরা বৈশ্বিক বিশ্বাসের অংশ হিসেবে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেব, বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের বৃহৎ আশার বিষয়টিকে স্মরণ করব।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যা দফতরের তথ্যানুযায়ী, ২০০১ সালে যুক্তরাজ্যের আদমশুমারিতে ধর্মের প্রশ্নের বিষয়টি যুক্ত করা হয়। এটি ঐচ্ছিকভাবে রাখা হয়েছিল। তবে ৯৪ শতাংশ মানুষ ধর্মে প্রশ্নে সাড়া দেন।

প্রায় ২৭.৫ মিলিয়ন বা ৪৬.২ শতাংশ ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বাসিন্দারা নিজেদের খ্রিস্টান বলে পরিচয় দেন। তবে ২০১১ সাল থেকে এটি আরো ১৩.১ শতাংশে নেমে এসেছে।

এদিকে, ৩৭.২ শতাংশ বা ২২.২ মিলিয়ন ধর্মহীন মানুষ রয়েছেন। তাদের অনুসামী ১২ পয়েন্ট বেড়েছে। আর জনসংখ্যার ৩.৯ মিলিয়ন বা ৬.৫ শতাংশ হচ্ছে মুসলিম। ২০১১ সালে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৪.৯ শতাংশ।

এরপর ১০ লাখ হিন্দু ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে রয়েছে এবং শিখ রয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার। অন্যদিকে, ইহুদিদের ছাড়িয়ে গেছে বৌদ্ধরা। যুক্তরাজ্যের দুটি রাজ্যে দুই লাখ ৭১ হাজার ইহুদি আছে আর বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী আছে ২ লাখ ৭৩ হাজার।

গত বছরের আদমশুমারিতে টুকরো টুকরো থেকে মূল বিভাগগুলি প্রকাশ করছে জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা। সর্বশেষটি ধর্ম ও জাতিগত পরিচয় নিয়ে কাজ করেছে সংস্থাটি। তবে স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের তথ্য আলাদাভাবে প্রচার করেছে সেটি।

সূত্র- এনডিটিভি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *