দ্বিতীয় বিবাহ বিচ্ছেদের পথে সারিকা!

দ্বিতীয় বিবাহ বিচ্ছেদের পথে সারিকা!

বিনোদন

নভেম্বর ৩০, ২০২২ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ছোট পর্দার জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন। দীর্ঘ সাত বছরের বন্ধুত্ব ও প্রেমের পর ২০১৪ সালে ব্যবসায়ী মাহিম করিমকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সাত বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর মাহিমের গলায় মালা পড়ান তিনি।

বিয়ের এক বছরের মাথায় অভিনেত্রীর কোলজুড়ে আসে কন্যাসন্তান সেহরিশ আনায়া। তবে দুজনের বনিবনা না হওয়ায় ২০১৬ সালে সারিকার ভালোবাসার সেই সংসারটি ভেঙে যায়।

এরপর একাকীত্ব জীবন-যাপন করছিলেন সারিকা। কালেভদ্রে তাকে কাজে দেখা যেত। নিজেকে সবসময় আড়ালেই রাখতেন তিনি। জীবনের একাকীত্ব ঘুচিয়ে নতুন করে সংসারের পরিকল্পনা করেন অভিনেত্রী। তাই তো চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সারিকা।

পারিবারিক আয়োজনে তাদের বিয়ে হয়। এরপর ঘটা করে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তিনি। ঝলমলে শুরুর পর অভিনয় অথবা সংসার—ঠিক কোনোটাই দানা বাঁধছিল না সারিকার জীবনে। মাত্র ৯ মাস হলো নতুন বিয়ের ঘর, এর মধ্যেই এলো ভাঙনের শব্দ।

জানা গেছে, যৌতুকের টাকার জন্য সারিকার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেন তার স্বামী জিএস বদরুদ্দিন আহমেদ। এমন ঘটনায় অভিনেত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ‘৫০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য’ মারধরের ঘটনায় করা মামলায় জিএস বদরুদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে সারিকা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটি আমলে নিয়ে বদরুদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ ডিসেম্বর (বুধবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) পারিবারিকভাবে সারিকা ও বদরুদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের দেনমোহর ২০ লাখ টাকা। বিয়ের সময় সারিকার বাবা-মা বদরুদ্দিনকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র দেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই সারিকার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তাকে মারধর করেন বদরুদ্দিন। এরপর ৫ নভেম্বর (শনিবার) সারিকাকে ৫০ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। টাকা না দেয়ায় সারিকাকে চুল ধরে এক কাপড়ে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন বদরুদ্দিন। এরপর ১৯ নভেম্বর (শনিবার) ধানমন্ডিতে এক সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে বদরুদ্দিন বলেন, ব্যবসার জন্য তাকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে সারিকার সঙ্গে সংসার করবে না।

জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ফের সংসারে মনোযোগী হয়েছিলেন সারিকা। পাশাপাশি নিয়মিত হন অভিনয়েও। তবে অভিনয়টা ঠিক চললেও সংসারে শুরু হলো ছন্দপতন। স্বামীর সাফ কথা, ৫০ লাখ টাকা না পেলে সারিকার সঙ্গে তিনি সংসারে ইতি টানবেন। তবে যৌতুক দিতে নারাজ অভিনেত্রী। তাই তো স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে করেছেন মামলা। জানা গেছে, বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তারা! তাদের সম্পর্ক আর জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *