অক্টোবর ১৬, ২০২৩ ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত মানব যানের গতিবেগ কত?
অতি দ্রুত গতিতে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পার্কার সোলার প্রোব ছুটছে।প্রোবর উদ্দেশ্য সূর্যের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ।এটাই মানুষের তৈরি সর্বোচ্চ দ্রুত গতিবেগ সম্পন্ন যান বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
২০১৮ সালে পার্কার সোলার প্রোবকে সূর্যের পথে রওনা করে নাসা। ওই সময় সোলার প্রোবর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬৩ কিলোমিটার। মহাকাশযানটির ক্ষমতা বোঝাতে বিজ্ঞানীরা দু’টি উদাহরণ দিয়েছেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ১৫ বার পৃথিবী প্রদক্ষিণের ক্ষমতা রাখে এই সোলার প্রোব নভোযান।
ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর দূরত্ব প্রায় ৩ হাজার ২১৪ কিলোমিটার। পার্কার সোলারের যা গতিবেগ তাতে ৩০ সেকেন্ডেই এই রাস্তা পেরিয়ে যাবে সেটি। নাসা সূত্রে খবর, সূর্যের পথে ধীরে ধীরে গতিবেগ বাড়িয়েছে এই মহাকাশযান। ২০২৫-র মধ্যে সর্বোচ্চ গতিবেগে পৌঁছবে এটি। তখন ঘণ্টায় ৬ লাখ ৯০ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটবে পার্কার সোলার। যা আলোর গতিবেগের প্রায় ০.০৬৪ শতাংশ।
গত পাঁচ বছরে সূর্যের কক্ষপথের কাছাকাছি পৌঁছেছে নাসার এই মহাকাশযান। সূর্যের প্লাজমা তরঙ্গ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়েছে সেটি। তাছাড়া সূর্যের বাইরের অংশের তাপমাত্রাও পরিমাপ করেছে পার্কার সোলার। নাসা জানিয়েছে, সৌর বায়ু, সৌর ঝড় ও সূর্যের অভিকর্ষ শক্তি সম্পর্কে বহু অজানা তথ্য সরবরাহ করছে তাদের নভোযান। গত পাঁচ বছরে অন্তত ১১ বার সূর্যের কাছাকাছি গিয়েছে পার্কার সোলার। শুধু তাই নয়, সূর্যের গনগনে আঁচও অনুভব করেছে সেটি।
মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দাবি, পার্কার সোলারের পাঠানো হিসাব অনুযায়ী সূর্যের বাইরের দিকের তাপমাত্রা প্রায় ৭৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেন পুড়ে হিলিয়াম তৈরির কারণেই এই তাপ তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।