পাকিস্তানে সেনাপ্রধানই সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি: ইমরান খান

পাকিস্তানে সেনাপ্রধানই সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি: ইমরান খান

আন্তর্জাতিক

এপ্রিল ১৭, ২০২৩ ৯:০০ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাপ্রধানই সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি এবং সবাই তার সিদ্ধান্ত মেনে চলে বলে দাবি করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) লাহোরে দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান বলেন, তিনি যাতে ক্ষমতায় ফিরতে না পারেন তাই সেনাবাহিনী দেশটির ‘দুর্নীতিগ্রস্ত মাফিয়াদের’ পক্ষ নিয়েছে।

তার দাবি, ‘আমদানি করা সরকার’ সুপ্রিম কোর্টকে অসম্মান করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই দলীয় সমর্থকদের দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

পাকিস্তান মুসলিম লীগ–নওয়াজ (পিএমএল–এন) নেতৃত্বাধীন জোট সরকার দেশটির ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ইমরান খানের বক্তব্য প্রচারে ‘অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা’ দিয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইমরান খান।

সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি মর্মান্তিক বিষয় হবে মন্তব্য করে ইমরান বলেন, ‘সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে অসম্মানিত করার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই আমি সর্বোচ্চ আদালতের পাশে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পাকিস্তানের গণতন্ত্র এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্ভর করছে।যাঁরা গণতন্ত্র চান তাদের এর পাশে দাঁড়াতে হবে।’

ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার যদি সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না থামায় এবং সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ মে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক নির্বাচন আয়োজন না করে তাহলে ঈদের পর রাস্তায় নামতে পুরো জাতিকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি সামনে থাকে রাস্তায় এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে।

সেনাবাহিনীর উদ্দেশে ইমরান খান বলেন, তাদের মনে রাখতে হবে তারা বেশিদিন দেশের মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্তদের শাসন মেনে চলতে বাধ্য করতে পারবে না।

পিটিআই প্রধান বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে এ সত্য বিষয়টি মনে রাখতে হবে যে যখন একটি জাতির উত্থান ঘটে তখন সহিংস কৌশল কাজ করে না। আমার দলের কর্মীদের নির্যাতন–নিপীড়ন করা হচ্ছে। তারা আমার দলের নেতা–কর্মীদের মুখ বন্ধ করতে চেয়েছে। কাজে আসেনি। আমি বলব, আবার করলেও কাজে হবে না।’

সূত্র: এনডিটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *