পাকিস্তানে আসন্ন করাচির এনএ-২৪৫ আসনের উপনির্বাচনে ২০১৮ সালের মতো নিরাপত্তা দিতে চাইছে না দেশটির সেনাবাহিনী। তবে, নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রয়োজন দেখা দিলে তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, করাচির উপনির্বাচনের আগে নিরাপত্তার জন্য সেনাপ্রধানকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সচিব ওমর হামিদ খান সাংবাদিকদের বলেন, সামরিক সদস্যরা নিরাপত্তা বলয়ের তৃতীয় স্তরে থাকবে এবং জরুরি প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে।ঃ
হামিদ বলেন, ভোটকেন্দ্রে সেনা মোতায়েন করা হবে না, তবে আধাসামরিক রেঞ্জার্স বাহিনী ‘ভোট কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকবে’।
২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যাপক বিচারিক ক্ষমতা দিয়েছিল। এ ধরনের পদক্ষেপে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ব্যাপক সমালোচনা করে। সে সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানজুড়ে প্রায় ৩ লাখ ৭১ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।
পাঞ্জাব প্রদেশের জোহর টাউনে উপনির্বাচন প্রচারের সময় পিএমএল-এন এবং পিটিআই-এর কর্মীদের মধ্যে একটি ‘সশস্ত্র সংঘর্ষের’ পরে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছিল। সহিংসতার কিছু ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, সশস্ত্র লোকজন এবং অন্যান্য লোকজন একে অপরকে আক্রমণ করছে। ডনের মতে, কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছিল। পরে তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজা সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করে স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন। লাহোর পুলিশের বরাতে ডন জানায়, উভয় রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ বাহিনী ব্যবস্থা নেয়। সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করে এবং অনেককে গ্রেফতার করে। জোহর টাউন পুলিশ ‘হামলাকারীদের’ বিরুদ্ধে মামলাও করে।
সহিংসতার আগের রেকর্ডের কারণে আগামী সোমবার পাঞ্জাব, সিন্ধু এবং খাইবার-পাখতুনখোয়াতে স্থানীয় সরকার এবং উপনির্বাচনের শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তা চায় নির্বাচন কমিশন। সেনা মোতায়েন চাওয়া নিয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠির বিষয়টি পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াও নিশ্চিত করেছেন।
করাচির এনএ-২৪৫ উপনির্বাচন, পাঞ্জাবের ২০টি নির্বাচনী এলাকা এবং পিকে-৭ সোয়াত আসনে নিরাপত্তা চেয়েছেন সুলতান রাজা।