ইউক্রেনে মার্কিন আর্টিলারি ব্যবস্থা পৌঁছেছে: কিয়েভ

আন্তর্জাতিক স্লাইড

জুন ২৪, ২০২২ ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো দূরপাল্লার রকেট লঞ্চার হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমারস) ইউক্রেনে পৌঁছেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকোভ বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল-জাজিরা।

রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনো অব্যাহত। এই মুহুর্তে ডনবাসে চলছে তুমুল লড়াই। এর মধ্যেই এমন খবর দেশটির জনগণের মধ্যে নতুন আশা সৃষ্টি করেছে।

অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দূরপাল্লার অস্ত্র চেয়ে আসছিল ইউক্রেন। জানা যায়, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন দূরপাল্লার ৩০০টি রকেট সিস্টেম চেয়েছে। তারই পরিপেক্ষিতে ইউক্রেনকে চারটি হিমারস রকেট লঞ্চার দেওয়ার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এসব অস্ত্র রাশিয়ার ভূখণ্ডে আক্রমণের জন্য ব্যবহার করা হবে না এমন আশ্বাস দিয়েছে কিয়েভ।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এসব অস্ত্র পাওয়ার পর দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকোভ এক টুইট বার্তায় বলেন, হিমারস ইউক্রেনে পৌঁছেছে। শক্তিশালী অস্ত্র দেওয়ার জন্য আমার বন্ধু লয়েড অস্টিনকে ধন্যবাদ।

সিএনএন জানায়, হিমারস ইউক্রেনে শুধু প্রবেশ করেছে নাকি সেগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি নিশ্চিত নয়।

যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশই মাল্টিপল রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু ছয়টি রকেট বহন করতে সক্ষম হিমারস, যেগুলো ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে সেগুলো আরও উন্নত, দূরপাল্লার এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন।

হিমারস এক ধরনের মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম। এটি ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জন্য প্রথম ব্যবহার করা হয়। এটি ছয়টি প্রলোড ২২৭এম গাইডেড মিসাইল বহন করতে সক্ষম।

যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জার্মানিও একই ধরনের ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি রকেট লঞ্চার দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

এর আগে গেল ১৮ জুন এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনে ৪টি এমকিউ ওয়ান সি গ্রে ইগল ড্রোন বিক্রির পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। অত্যাধুনিক নজরদারি প্রযুক্তি সম্বলিত ও বিধ্বংসী হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম ইগল ড্রোন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি যুদ্ধাস্ত্র। এ ড্রোন তৈরিতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তা একান্তভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ও বর্তমানে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বাধুনিক।

গত মার্চে এ ধরনের ড্রোন কিনতে লিখিত প্রস্তাব পাঠায় কিয়েভ। তারপর জুন মাসের প্রথম দিকে ইউক্রেনের কাছে ৪টি এমকিউ ওয়ান সি গ্রে ইগল ড্রোন বিক্রির ব্যাপারে অনুমোদন দেয় হোয়াইট হাউস। তবে হোয়াইট হাউস অনুমোদন দেওয়ার পরই তাতে আপত্তি জানায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর পেন্টাগন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে, তবে নতুন নতুন স্থাপনায় হামলা করা হবে বলে পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে মৌলিক কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।

তিনি সে সময় আরও বলেছিলেন, ‘যদি কিয়েভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়া হয়, আমরা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেব এবং এমন লক্ষ্যে আঘাত হানতে আমাদের অস্ত্র ব্যবহার করব, যেসব লক্ষ্যে আমরা আগে আঘাত করিনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *