নেইমারের চুক্তিতে শর্ত, ‘বাবার জন্য নিয়মিত নারী চাই’!

নেইমারের চুক্তিতে শর্ত, ‘বাবার জন্য নিয়মিত নারী চাই’!

খেলা স্পেশাল

জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় নেইমার জুনিয়রের ট্রান্সফার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে জলঘোলা হয়েছে। কর ফাঁকি, আর্থিক হিসেবে গড়মিলের মতো একাধিক মামলা হয়েছে স্পেনের আদালতে। নেইমার বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিসে যাওয়ার পরও তাকে স্পেনের আদালতে হাজির হতে হয়েছে।

বার্সেলোনায় আসার জন্য নেইমারের সেই ট্রান্সফার চুক্তির একটি শর্ত হঠাৎই প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে হইচই পড়ে গেছে ফুটবল মহলে। বলা হয়েছে, নেইমারের বাবা নাকি বার্সেলোনাকে শর্ত দিয়েছিলেন যে, তাকে নারীসঙ্গীর জোগান দিতে হবে। তবেই চুক্তিতে সই করতে দেবেন ছেলেকে।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার ২০১৪ সালে করা সেই প্রতিবেদন দেখতে ক্লিক করুন এখানে

এই তথ্য ফাঁস করেছিলেন সান্তোসের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইস আলভারো দা অলিভিয়েরা রিবেইরো। বার্সেলোনায় আসার সময় নেইমারের এজেন্ট ছিলেন তার বাবাই। আট বছর আগেই এই দাবি করেছিলেন রিবেইরো, যা আবার প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে নেইমারের বাবার চূড়ান্ত সমালোচনা করেছেন তিনি।

রিবেইরো জানান, লন্ডনের হোটেলে নারী, বিনামূল্যে কফি এবং ব্রাজিলের ম্যাচ দেখতে যাওয়ার জন্যে বিনামূল্যে বিমানের ব্যবস্থা করার দাবি করেছিলেন নেইমারের বাবা। সেই দাবি পূরণ করার পরেই তার ছেলের বার্সেলোনায় সই করার সবুজ সঙ্কেত মেলে।

ওই সাক্ষাৎকারে নেইমারের বাবাকে অর্থপিশাচ বলেছিলেন রিবেইরো। তার ভাষায়, নেইমারের চুক্তিতে বলা ছিল, ওর বাবাকে লন্ডনের পিকাডিলির একটি হোটেলে নিয়মিত নারীসঙ্গী দিতে হবে। কারণ নেইমারের বাবা সব কিছু নিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওর কাছে টাকার অভাব ছিল না।

তিনি আরো বলেন, সে (নেইমারের বাবা) কোনোদিন কফির দাম দেয়নি। অন্তত ২০০ বার আমি ওর কফির দাম দিয়েছি। সেই চুক্তিতে মহিলাসঙ্গী ছাড়াও ব্রাজিলের ম্যাচ দেখতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা ছিল। বার্সেলোনা নেইমারের বাবার জন্য একজন লোককে ঠিক করে দিয়েছিল, যে সব চাহিদা মিটিয়ে দিত।

রিবেইরো যোগ করেন, নেইমারের বাবা একজন মিথ্যুক। সে শুধু টাকার কথা ভাবে। নেইমার বাইরে যখনই খেলতে যাবে তখনই ওর বাবার জন্য বিমানে একটি প্রথম শ্রেণির এবং দুই বন্ধুর জন্যে বিজনেস ক্লাসের টিকিটের ব্যবস্থা করতে হবে। এই প্রতিশ্রুতি চুক্তিতে ঢোকাতে চেয়েছিল ওর বাবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *