নাক ডাকার সহজ সমাধান

লাইফস্টাইল

জুলাই ১, ২০২২ ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

নাক আর নিশি, মাঝরাতে একবার ডাক দিলে উপেক্ষা করে শুয়ে থাকা কুম্ভকর্ণের পক্ষেও কঠিন। আবার কারো কারো নাসিকার গর্জন তো এতই প্রবল যে, মধ্যরাতে শয়নকক্ষকে সুন্দরবন মনে হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

নাক ডাকা নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে হাসাহাসি হলেও এর পেছনে থাকে নাক ও পেশির দুর্বলতা, ফুসফুসের সমস্যা বা নাকের ভেতর অবাঞ্ছিত বাধা সৃষ্টির মতো শারীরিক অসুস্থতা। তবে খুব সহজ কিছু উপায় মেনে চললে কমতে পারে নাক ডাকার সমস্যা।

নাক-ডাকা আসলে নিছক হাসি-ঠাট্টা বা বিরক্তির বিষয় নয়। নাকের ডাকও হতে পারে জটিল কোনো রোগের লক্ষণ, বলছেন চিকিৎসকরা।

মানুষ কেন নাক ডাকে?

নাক ডাকার পেছনে থাকতে পারে অনেক কারণ। এর পেছনে থাকতে পারে ওজন বেশি থাকা, নাকের মধ্যে কোথাও বাধা তৈরি হওয়া, নাক ও গলার পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া, সর্দি লাগা, ধূমপান, ফুসফুসের সমস্যা ইত্যাদি। তাই নাক ডাকলে সতর্ক থাকা ছাড়া উপায় নেই।

নাক ডাকার সমাধানে যা করতে পারেন

এক পাশ ফিরে ঘুমান

যারা তীব্র নাক ডাকেন তারা চিত হয়ে শুলে নাক ডাকার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। এক পাশ ফিরে শুলে কিছুটা হলেও সমস্যা কমে। পাশ ফিরে শুলে বাতাস চলাচলের পথটি খুলে যায়। তাই শব্দ কমে যায়।

উঁচু বালিশে ঘুমান

উঁচু বালিশে মাথা রাখলেও অনেক সময় নাক ডাকার সমস্যা কমে। চার ইঞ্চিমতো উঁচু বালিশ ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।

বেশি করে পানি খান

শরীরে পানির ঘাটতি হলেও নাক ডাকার সমস্যা বাড়ে। তাই নিজেকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখুন, উপকার পাবেন।

ধূমপান ছাড়ুন

ধূমপানের ফলে শ্বাসনালিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। স্ফীত হয়ে যেতে পারে কিছু কিছু নাসিকাপেশি। ধূমপান বন্ধ করতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা দূর হয়, ফলে নাক ডাকার প্রবণতা কমে।

অতিরিক্ত ওজন কমান

অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার অন্যতম কারণ। ওজন যত বাড়বে, নাক ডাকার আশঙ্কাও তত বাড়বে। অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেললে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

কিছু ঘরোয়া উপায়

পুদিনা, দারুচিনি ও রসুন মেশানো পানিতে কুলকুচি করুন

পুদিনা, দারুচিনি ও রসুন হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন একবার করে কুলকুচি করুন। ফল পাবেন।

অলিভ অয়েল

ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে মাত্র কয়েক দিন এক ফোঁটা করে অলিভ অয়েল নাকে দিন। দেখবেন নাক ডাকার সমস্যা কমছে। কারণ, এ ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল নাকের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করে দেয়।

ঘি

এ সমস্যা সমাধানে ঘি হতে পারে আপনার অন্যতম হাতিয়ার। এ ক্ষেত্রে ঘি সামান্য গরম করুন। সহনযোগ্য অবস্থায় এলে সামান্য ঘি দুই নাকে দিন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই ফল পাচ্ছেন।

হলুদ

হলুদ নাকের অন্দর পরিষ্কার করতে পারে। এ ক্ষেত্রে গরম দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খান। দেখবেন সমস্যা মিটছে।

সূত্র: আনন্দবাজার, এই সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *