নতুন ১০০ সেতু দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

নতুন ১০০ সেতু দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় স্লাইড

নভেম্বর ৮, ২০২২ ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একযোগে ১০০টি সেতু উদ্বোধন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি দেশের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। এতে আমরা আরো দ্রুত এগিয়ে যাবো। নতুন সেতুগুলো জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে।

সোমবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু উদ্বোধন করেন তিনি। সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে সাতটি, ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়টি এবং রংপুর বিভাগে তিনটি রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেতুগুলো রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। ৩৩টি রুট ফেরি পরিষেবা থেকে মুক্ত করেছে। যা সড়ক যোগাযোগকে অবাধ, দ্রুত, সহজ এবং নিরাপদ করবে। এখন যেকোনো দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য করা সহজ হবে, পণ্য পরিবহন এবং বিপণন ও দ্রুত এবং সহজ হবে।

তিনি আরো বলেন, গত ১৪ বছরে আমরা বিভিন্ন মহাসড়কে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মিটার সেতু নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ এবং ২১ হাজার ২৬৭ মিটার কালভার্ট নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ করেছি। এছাড়া বহু সড়ককে মহাসড়কে উন্নীত করেছি। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ কাজ সমাপ্তকরণসহ খুলনা, পাকশী ও আশুগঞ্জে তিনটি বৃহৎ সেতু নির্মাণ করা হয়- যা মহাসড়ক নেটওয়ার্ককে নিরবচ্ছিন্ন করে তোলে। সরকার ’৯৬ থেকে ২০০১ সালেই ১৯ হাজার বৃহৎ, মাঝারি, ছোট সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। সরকার এমন ভাবে সেতু সড়ক ও মহাসড়কগুলো নির্মাণ করছে যেন শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয় আমরা এশিয়ান হাইওয়ে এবং এশিয়ান রেলের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারি। ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমাদের যোগাযোগ যেন আরো এগিয়ে যেতে পারে আমরা সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি।

সরকার প্রধান বলেন, সরকার দেশের যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে আর কোনো অভাব হয়নি। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ফলে পার্বত্য অঞ্চলেও উন্নয়ন হচ্ছে। তৃণমূলের মানুষ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। দেশবাসীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেভাবেই কাজ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, সেখানে সেটা করেছি। দুর্গম এলাকা পর্যন্ত আমরা ব্রডব্যান্ড এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণেই আজ বিভিন্ন জেলা যুক্ত করে একযোগে ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করতে পেরেছি। সারাদেশে কানেকটিভি বাড়াতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে, সড়ক, নৌ এবং আকাশপথে যোগাযোগের বাড়াতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে সেতুর ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *