নকলায় এলাকার সুনাম নষ্টের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

নকলায় এলাকার সুনাম নষ্টের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

দেশজুড়ে

মে ২৮, ২০২৩ ৭:১৮ অপরাহ্ণ

দেলোয়ার হোসেন, নকলা (শেরপুর)

শেরপুরের নকলায় পাওনা টাকা নাদিয়ে উল্টা হয়রানি ও মাদক সংশ্লিষ্ট ভূয়া খবরের মাধ্যমে এলাবাসীর সুনাম নষ্ট করার প্রতিবাদে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামা কৈয়াকুড়ি এলাকার নিরীহ আয়শা বেগম ও তার পরিবারের লোকজন এবং নামা কৈয়াকুড়িবাসী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

রবিবার (২৮ মে) দুপুরের দিকে নকলা প্রেস ক্লাব অফিসে (উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলা) আয়শা বেগম ও তার পরিবার এবং নামা কৈয়াকুড়িবাসী মিলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আয়শা বেগম ও তার পরিবারের পক্ষে মো. শরিফুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তাছাড়া এলাকাবসীর পক্ষে নাছিমা বেগম, আবুল কালাম ও আব্দুল লতিফসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। এসময় এলাকার বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি পেশার শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, নামা কৈয়াকুড়ি এলাকার নিরীহ আয়শা বেগমের কাছে লিখিত আকারে ৫ লাখ টাকা নেয় উপজেলার কুর্শাবাদাগৈড় এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে প্রতারক আছাদুজ্জামান। এ টাকা না দেওয়ার পায়তারার অংশ হিসেবে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত খবরের মাধ্যমে সামাজিক ভাবে তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। তাছাড়া উদ্দেশ্য প্রণোদিত খবরে এলাকায় মাদকের সংশ্লিষ্টতা আছে উল্লেখ করায় এলাকার সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ায় এর প্রতিবাদে আয়শা বেগমের পরিবার ও এলাকাবাসী এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

তাছাড়া সিনিয়র সাংবাদিক আলহাজ্ব মাহবুবর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন আহমেদ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, সহ-সভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দন মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী রাজন ও নূর হোসেনসহ জেলা-উপজেলার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানানো হয়, উপজেলার কুর্শাবাদাগৈড় এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে প্রতারক আছাদুজ্জামান আয়শাকে ধর্মের মা বানিয়ে বিদেশে যাওয়ার কথা বলে কতিপয় স্বাক্ষীগনের মোকবেলায় ও তাদের স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লিখিত করে নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেয়। বিষয়টি উপজেলার উর্ধ্বতনসহ অনেকে জানেন।

কয়েকমাস পরে আছাদের কাছে পাওনা টাকা চাইলে সে তালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি স্বাক্ষীগনকে জানালে তারা আছাদুজ্জামানকে আয়শার নিকট নেওয়া পাওনা টাকা দিয়ে দিতে বলেন। পরে কোন উপায় অন্ত নাপেয়ে পাওনা টাকা না দেওয়ার পায়তারার অংশ হিসেবে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত খবরের মাধ্যমে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। তাছাড়া এলাকায় মাদকের সংশ্লিষ্টতা আছে বলায় এলাকার সুনাম নষ্ট হয়েছে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। তারা আরো বলেন, নিরীহ আয়শা বেগকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হুমকি দিচ্ছে আছাদুজ্জামান। এরই মধ্যে নকলা থানায় একটি মামলা করেছে সে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীর কাছে থাকা ৫ লাখ টাকা নেওয়ার প্রমাণ স্বরূপ লিখিত স্ট্যাম্প নিতে ভূক্তভোগীর বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হুমকি দামকী দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অরিজিনাল স্ট্যাম্প নাদিলে মামলায় জড়িয়ে জেল জরিমানা করাহবে বলে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। বর্তমানে তারা প্রাণ নাশসহ মামলায় জড়ানোর ভয়ে দিনাতিপাত করছেন। যেকোন সময় ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালাতে পারে। হতে পারে হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা।

বক্তারা আরো বলেন, কোন এলাকায় মাদককারবারী থাকলে তা পুলিশ বিভাগসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চয়ই জানার কথা। তারা মনে করেন এক্ষত্রে পুলিশ বিভাগসহ আন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকান্ডকে সুকৌশলে হেয় করা হয়েছে। তাই এমন ন্যাক্কারজনক কৃতকর্মের জন্য অপরাধের সাথে জড়িতদের চিহৃত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *