দেশে পর্যাপ্ত রিজার্ভ রয়েছে, ভোগান্তি হবে না: প্রধানমন্ত্রী

দেশে পর্যাপ্ত রিজার্ভ রয়েছে, ভোগান্তি হবে না: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় স্লাইড

নভেম্বর ২৬, ২০২২ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার জনগণের কল্যাণে সম্ভাব্য সবকিছু করবে, কাউকে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। দেশে পর্যাপ্ত রিজার্ভ রয়েছে। এই রিজার্ভ জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেকোনো দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে ৩ মাসের খাদ্য আমদানির রিজার্ভ থাকতে হয়। আমাদের এত রিজার্ভ মানি আছে যে আমরা ৫ মাসের খাদ্য আমদানি করতে পারি।

শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু মানুষ রিজার্ভ বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছে। তারা চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে রিজার্ভ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছে। আমাদের এই রিজার্ভ চাল-গম, ভোজ্য-জ্বালানি তেল ও ভ্যাকসিন আমদানিসহ জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোভিড-১৯, ভর্তুকি দেওয়া, কিছু প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং বিদেশি ঋণ পরিশোধ করায় এই টাকা ব্যয় হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করে তখন রিজার্ভ ছিল ৫ বিলিয়নের কিছু বেশি। করোনাকালে আমদানি বন্ধ ছিল, সরকারিভাবে রেমিট্যান্স এসেছে, কোনো হুন্ডি ব্যবসা ছিল না, কোনো খরচ ছিল না। এ কারণে আমাদের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমদানি-রফতানি বেড়েছে। এছাড়া ভ্যাকসিন ক্রয় এবং করোনা মোকাবিলার আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটাতে হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হয়েছে- এজন্য টাকা খরচ হয়েছে। নানা সমস্যার মধ্যেও সরকার এই অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, রিজার্ভ শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীর অনেক দেশের রিজার্ভ কমে গেছে। বাংলাদেশ সরকার শ্রীলংকাকে সহযোগিতা করেছে এবং অনেক দেশ আমাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে। এখন যে রিজার্ভ আছে তা আমাদের জন্যই প্রয়োজন, তাই সেটা আমাদের রাখতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের এখন যে রিজার্ভ তাতে আমরা ৫ মাসের খাদ্য আমদানি করতে পারি। তবে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে ব্যাংকে টাকা নেই। ব্যাংকে টাকা রাখলে আর পাওয়া যাবে না। সেই গুজবে কান দেওয়া যাবে না। সরকার এই বিশ্বমন্দার মাঝেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতিও রয়েছে। এখন আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বাচিপের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *