তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী এক্সন মবিল সোয়া তিন লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী এক্সন মবিল সোয়া তিন লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী

অর্থনীতি

জুলাই ২৩, ২০২৩ ৪:৩৮ অপরাহ্ণ

সুদীপ দেবনাথ রিমন

যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি এক্সন মবিল সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের কার্যক্রমে অংশ নেয়ার আগ্রহ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।

এক্সন মবিলের এই আগ্রহকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছে জ্বালানি বিভাগ। বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানালেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘এক্সন মবিল আগ্রহ দেখিয়েছে। গভীর সমুদ্রে তারা অনুসন্ধান করতে চান। প্রথমে টুডি সার্ভে এর পর থ্রিডি সার্ভে করতে চাইছে তারা। তারপরে যদি পোটেনশিয়ালিটি থাকে তাহলে উত্তোলনে যেতে চান তারা।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি, মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে শেষ হলে ওপেন বিডিংয়ে যাবো। এটা একটা পর্যায়। আরেকটা পর্যায় হলো, যদি ভাল পোটেনশিয়ালিটি দেখি, তাহলে নোগোশিয়েশনের মাধ্যমে আমরা যেতে চায়।কিন্তু আমরা এখনো আলোচনার মধ্যে রেখেছি বলেও মন্তব্য করেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

আর দ্বিতীয় সমস্যা হলো- দক্ষতার অভাব। দরকষাকষিতে বসলে টেকনিক্যাল, অর্থনৈতিক, আইনগত দক্ষতা তাদের দিকে যত শক্ত, আমাদের দিকে তত না।’

ভারত ও মিয়ানমার তাদের সমুদ্রসীমায় গ্যাস পেয়েছে। তাই দেশের সাগরে তেল-গ্যাসের ভাণ্ডার থাকার জোর সম্ভাবনা আছে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১২ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিস্পত্তির পর সাগরে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের মালিকানা। পরে, ভারত ও মিয়ানমার তাদের সমুদ্রসীমায় গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় গ্যাসের মজুদ কতটা আছে তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। এ বিষয়ে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনাগ্রহের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে।

বঙ্গোপসাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে প্রায় সোয়া তিন লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি এক্সন মবিল। এরি মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

তবে, জ্বালানি সংকটের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এমন প্রস্তাবকে সুযোগ হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *