'তারা থানায় রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুনকে থাপড়াচ্ছিল'

‘তারা থানায় রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুনকে থাপড়াচ্ছিল’

দেশজুড়ে স্লাইড

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ ৩:৩৮ অপরাহ্ণ

শাহবাগ থানায় নিয়ে শনিবার রাতে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম।

নাঈম বলেন, রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুন ভাই আমাদের পূর্বপরিচিত। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি বারডেম হাসপাতালে যেতে বলেন। হাসপাতালে যাওয়ার পর দেখি মামুন ভাইয়ের স্ত্রী সানজিদা এবং এডিসি হারুনের সঙ্গে তর্ক করছেন মামুন ভাই। স্ত্রীর সঙ্গে এডিসি হারুনের সম্পর্কের বিষয়টি মামুন ভাই হয়তো আগে থেকেই জানতেন। আমি কিছুক্ষণ পরে সেখানে যাই। পরে এডিসি হারুন শাহবাগ থানায় ফোন দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, দুই পরিদর্শকসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে ডাকেন।

নাঈম বলেন, শাহবাগ থানার ওসি ছাত্রলীগের আরেক নেতাকে দুই হাত দিয়ে দু কানে এলোপাতাড়ি থাপড়াচ্ছিলেন। এভাবে থাপড়াতে থাপড়াতে তাকে থানায় নিয়ে যান। এসময় এপিএস মামুন ভাইকেও দু’হাত পিছমোড়া করে নিয়ে যায় থানায়। যে কক্ষে মামুন ভাইকে বসিয়ে রাখা হয় সেখানে আমি প্রবেশ করি। তারা মামুন ভাইকে চড় থাপ্পড় মারছিল।

শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধর করেন এডিসি হারুন অর রশিদ। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। হারুনকে প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও পরে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়।

এ ঘটনায় ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ গতকাল দাবি করেন, এডিসি হারুনকে প্রথমে মারধর করেন সানজিদার স্বামী এপিএস আজিজুল হক মামুন। সেই ঘটনাও তদন্ত করা উচিত।

এরপরই বারডেমে সেদিন কী ঘটেছিল সেটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত সেই নারী এডিসি সানজিদার বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। সর্বশেষ হারুনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়ান বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি বেশ কয়েক মাস ধরে তার স্বামী ও রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল গোপনে নজরদারি করছিলেন। ঘটনার পর ডিএমপি সদর দপ্তরে কর্মরত এডিসি সানজিদা অন্তরালেও থাকলেও মঙ্গলবার মুখ খুলেছেন গণমাধ্যমে। তার দাবি, স্বামী মামুনই প্রথম এডিসি হারুনের গায়ে হাত তোলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *