ঢাবির সাবেক ছাত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে দাফনের চেষ্টা

দেশজুড়ে

এপ্রিল ২৮, ২০২৩ ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি,

যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী ফারহানা পারভীন উর্মি (২৯) নামে এক তরুণীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন মা ও ভাই। উর্মিকে ভাই ফয়েজ রাজ্জাক ফারদিন শ্বাসরোধে হত্যা করেন। লাশ দাফনের সময় মাথায় আঘাতের দাগ দেখে পুলিশে খবর দেন উর্মির চাচা রবিউল ইসলাম।

এ ঘটনায় আপন ভাই ফয়েজ রাজ্জাক ফারদিন (২৩) ও মা আইরিন পারভীনকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা পুলিশের কাছে দায় স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর কোতোয়ালি থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, নিহত ফারহানা পারভীন উর্মি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় মা ও ভাইয়ের সঙ্গে যশোর শহরের বেজপাড়ার রাসেল চত্বর এলাকার ইমরান কবীরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

পারিবারিক কলহের জোর ধরে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ফারহানা পারভীন উর্মিকে (২৯) তার ভাই ফারদিন শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর ২৬ এপ্রিল বিকালে ফারদিন ও তার মা আইরিন পারভীন লাশ গ্রামের বাড়ি মাগুরার শালিখায় নিয়ে যান। আত্মহত্যা করেছেন বলে তাকে সমাহিত করার চেষ্টা করা হয়।

লাশের গোসলের সময় তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এরপর ফারহানার চাচা রবিউল ইসলাম বিষয়টি শালিখা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। শালিখা পুলিশের মাধ্যমে অবহিত হওয়ার পর যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ফারহানার লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারহানার ভাই ফারদিন ও মা আইরিন বেগমকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এরপর তারা হত্যার দায় স্বীকার করলে ফারহানার চাচা রবিউল ইসলামের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।

নিহত ফারহানা মাগুরার শালিখা উপজেলার শ্রীহট্ট গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মেয়ে। অভিযুক্ত ফারদিন আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের এলএলবির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *