ডুমুরিয়ায় ছাদ বাগানে মালটা চাষে সফল শেখ মাহতাব হোসেন

ডুমুরিয়ায় ছাদ বাগানে মালটা চাষে সফল শেখ মাহতাব হোসেন

দেশজুড়ে

জুলাই ১৬, ২০২৩ ৪:১৬ অপরাহ্ণ

মোক্তার হোসেন, ডুমুরিয়া (খুলনা)

খুলনার ডুমুরিয়ায় বাড়ির ছাদে পুষ্টি বাগান করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন সাংবাদিক শেখ মাহতাব হোসেন তিনি ছাদে টবে, ড্রামে, ফলের প্লাস্টিকের বাক্সে ও ইটের হালকা দেওয়ালের মাঝে অর্ধশত প্রজাতির মালটা, আমড়া, আম, কাগজি লেবু ,পেয়ারা ,চুইঝাল, ছিলটেস লেবু,আদা,ডালিম,থীন ফল,সহ বিভিন্ন গাছের বাগান করেছেন। বাগানে উৎপাদিত ফল নিজে খান, প্রতিবেশীদের দেন এবং অতিরিক্ত হলে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারেন।

জানা যায়, শেখ মাহতাব হোসেন খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা নতুন রাস্তা বাজারের বাসিন্দা। তিনি এই উপজেলার ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ ডৈইলী অবজারভার,ভোরের কাগজ ও দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার ডুমুরিয়া কর্মরত আছেন। পাশাপাশি কাজের ফাঁকে নিজ বাড়ির ছাদে ফুল, ফল, শাক, সবজি, মসলা ও ফলের বাগান করেছেন। এছাড়াও ব্যাপক পরিমানে মাছের চাষ করেছেন। রয়েছে ঘেরের আইলে আম, মালটা, কমলা, ড্রাগন, পেয়ারা, আমড়া ড্রাগন ফল ও এবং সবজির মধ্যে টমেটো, বারোমাসি শিম, লাউ। কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব পদ্ধতিতে নিরাপদ ভাবে চাষাবাদ করেন।

শেখ মাহতাব হোসেন বলেন, আমি বেশ কয়েকবছর যাবত ছাদবাগান করেছি। আমি সারাবছরই বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল ও শাক-সবজির চাষ করেছি। সাংবাদিকতার পাশাপাশি এই বাগানটি গড়ে তুলেছি। ছাদে উন্নত জাতের আম, মালটা, কমলা, ড্রাগন, পেয়ারা, আমড়া, ড্রাগন ফল সুইজার আদা, এবং সবজির মধ্যে টমেটো, বারোমাসি, শিম, মিষ্টি লাউ, বেগুন, টমেটো, পেঁপে, আমড়া, মরিচ ও অ্যালোভেরা, ঝিঙা, মরিচ, বারোমাসি মরিচ, করলা, ডাটা, সহ বিভিন্ন শাক-সবজি, ফুল-ফল রোপণ করে চাষ করছি।

তিনি আরো বলেন, ছাদ বাগানে উৎপাদিত ফুল-ফল ও শাক-সবজি একদিকে যেমন নিজের পরিবারের নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অন্যদেরকে ছাদ বাগান করতে উৎসাহিত করছি।

আরেক ছাদবাগানি আব্দুল লতিফ বলেন, আমি শেখ মাহতাব হোসেনের দেখাদেখি আগ্রহী হয়ে ছাদে বাগান করেছি। আমি ছাড়াও আরো অনেকে তাদের ছাদে বাগান করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কর্মকর্ত মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিদ হোসেন ও আরাফাত জামিল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন ও মিতা পাল পরিদর্শন করেন ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, শহরের মতো গ্রামেও দালান তৈরী হচ্ছে। ফলে কমে যাচ্ছে চাষাবাদের জমির পরিমান। বাড়ির মালিকরা ছাদে বাগান করে বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল ও শাক-সবজি চাষ করে নিজেদের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছেন। বাড়ির ছাদে বাগান করায় ছাদের উপযুক্ত ব্যবহারের পাশাপাশি পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মিটবে ও বাড়তি আয়ের পথ সৃষ্টি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *