ডিএনডির ভেতরে জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত জনজীবন

ডিএনডির ভেতরে জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত জনজীবন

দেশজুড়ে স্লাইড

অক্টোবর ৭, ২০২৩ ৮:১০ পূর্বাহ্ণ

গত কয়েক দিন হতে চলমান বর্ষণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধের অভ্যন্তরের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পানিতে ডুবে গেছে এলাকার রাস্তাঘাট ও অলিগলি পথ। এতে বিভিন্ন স্থানে হাঁটু সমান পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়া সরণি, ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাদপুর স্কুল রোড, মেডিকেল রোড, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের জুরাইন আলমবাগ সড়ক। যেখানে সারা বছরেই বর্ষাকালের মতো হাঁটু সমান পানি থাকে। শীত-বর্ষা সব সময়েই জলাবদ্ধতা থাকে। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে হাঁটু সমান পানির কারণে বেশ ভোগান্তিতে রয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা।

৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের নামা শ্যামপুর, মাদবরবাজার, ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেরাজনগর ডি ব্লক বড় মাদ্রাসার পিছনের গলি, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠেরপুল খলিল মাস্টার রোড, ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাতুয়াইল কবরস্থান রোড, মাতুয়াইল বহুমুখী ও বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সড়ক, মাতুয়াইল খুড়িয়াপাড়া রোড, ফার্মের মোর ও বাদশা মিয়া সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, ডিএনডি বাঁধের ভেতরে বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। এ সব এলাকার পর্যাপ্ত ড্রেন ব্যবস্থা না থাকায় ও ড্রেনগুলো ময়লায়-আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় বাসিন্দাদের পয়ঃনিষ্কাশনের পানিতেই সড়ক ও অলিগলি পথ তলিয়ে যায়। আর বৃষ্টি হলে আরও অবনতি হয়। এতে করে বাসিন্দাদের পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। জমা পানিতে খানাখন্দ ঢাকা পরায় হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। চলাচলের দুরবস্থার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার কারণে আশঙ্কাজনকভাবে এই এলাকায় বেড়েছে ডেঙ্গুসহ পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক বলেন, ডিএনডি অধ্যুষিত এলাকাগুলো নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত। আগে ছিল ইউনিয়ন পরিষদের আওতায়  তখন তেমন উন্নয়ন কাজ হয়নি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর রাস্তা, ড্রেনেজ, সড়কবাতি স্থাপনসহ পর্যাপ্ত উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এখনো অনেক এলাকার প্রধান সড়কসহ অলিগলি পথ উঁচু ও পাকা করা হয়নি। যার ফলে বাসিন্দাদের পয়ঃনিষ্কাশনের পানিতেই ওই সব নিচু এলাকা তলিয়ে যায়। আর বৃষ্টি হলে আরও অবনতি হয়ে বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

৬৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল বলেন, ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ড্রেনেজ দিয়ে ৬৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়। ওই ওয়ার্ডের ড্রেনেজ পরিষ্কার না থাকলে আমাদের ওয়ার্ড এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে রাস্তা, বাড়িঘর ও দোকান পাটের নিচতলা তলিয়ে যায়।

৬৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টু বলেন, কয়েকদিন পর পর ওয়ার্ডের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার পরও ময়লা-আবর্জনায় ভরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *