ট্রেনে ভাঙ্গা গেলেন প্রধানমন্ত্রী

ট্রেনে ভাঙ্গা গেলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় স্লাইড

অক্টোবর ১০, ২০২৩ ৩:০০ অপরাহ্ণ

যথারীতি দক্ষিণের রেল চালুর হুইসেল বাজলো। প্রমত্তা পদ্মায় সড়কের পর এবার সূচিত হলো রেল লাইনের। পদ্মা বহুমুখী সেতুতে চললো ট্রেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ সফরসঙ্গীদের নিয়ে সেই ট্রেন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে গেলো ফরিদপুরের ভাঙ্গায়।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেলস্টেশনে এক নাগরিক সমাবেশে ডিজিটাল সুইচ টিপে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখানে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীসহ অতিথিরা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মারেল সেতুর রেপ্লিকা উপহার দেন প্রকল্প পরিচালক।

উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা বলেন, ট্রেনে পদ্মাসেতু অতিক্রম করার স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে আন্তঃএশীয় রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্য আমাদের রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী নিয়ম অনুযায়ী, রেলের টিকিট কাটেন। হুইসেল বাজিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই এবং তিনিই ট্রেন চলাচলের সংকেত দেখান।

পরে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্রেন যাত্রা শুরু করে পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে ফরিদপুরের পথে। বেলা দুইটার পরে তিনি ভাঙ্গায় পৌঁছান। এই ট্রেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ছিলেন।

সূত্র জানায়, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই রেলরুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
রেল সংযোগটি সম্পূর্ণ চালু হয়ে গেলে এটি ঢাকা থেকে যশোরের মধ্যে যাতায়াতের সময় অর্ধেক সাশ্রয় হবে এবং দেশের রেল যোগাযোগকে জোরদার করতে বড় ধরনের সহায়তা করবে।

পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪টি জেলাকে রেলওয়ে নেটওর্য়াকের আওতায় আনা হলে রেল যোগাযোগ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর পদ্মাসেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে বিশেষ ট্রেনের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দীন আহমেদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য (মুন্সিগঞ্জ-২) সাগুফতা ইয়াসমীন এমিলি ও বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা ও যশোরের মধ্যে রেল যোগাযোগের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *