জুমার দিন ঈদুল ফিতর-ঈদুল আজহার মতোই

জুমার দিন ঈদুল ফিতর-ঈদুল আজহার মতোই

ধর্ম

মার্চ ৮, ২০২৪ ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ

মুসলিম উম্মাহর কাছে জুমাবার বা শুক্রবারের রাত-দিন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এদিনের সওয়াব ও মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতোই।

ইসলামের ইতিহাসে জুমার দিন বড় বড় ও মহৎ কিছু ঘটনা ঘটেছে।

জুমার গুরুত্ব মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার কাছে এত বেশি যে, পবিত্র কোরআনুল কারিমে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল করেছেন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে’। (সূরা: জুমা, আয়াত: ৯)

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদিসে বলেছেন, ‘মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন’। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর: ১০৯৮)

এক হাদিসে নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে’। (মুসলিম শরিফ , হাদিস নম্বর: ৮৫৪)

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো ইরশাদ করেছেন, ‘জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে, কোনো মুসলিম যদি সেই সময়টা পায়, আর তখন যদি সে নামাজে থাকে, তাহলে তার যেকোনো কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন’। (বুখারি, হাদিস নম্বর: ৬৪০০)

জুমার দিনের বিশেষ আমল

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়’। (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর: ১০৪৭)

এমনিতেই তিরমিজি শরিফের হাদিস অনুযায়ী আমরা জানতে পারি, যে ব্যক্তি দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তার ওপর ১০টি রহমত নাজিল করবেন। সুতরাং আমাদের জুমার দিন অন্যান্য আমলের সঙ্গে সঙ্গে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *