ক্রিকেটের ঈশ্বর খ্যাত ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। তার গড়া অসংখ্য কীর্তি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে, এমনটা অনেকেই ধারণা করেছিলেন।কিন্তু সেই ধরণা এখন অনেকেরই ভেঙে গেছে। কেননা মাঠের স্লোগান শচীন শচীন হলেও এখন বিরাট বিরাট এ চলে এসেছে। শচীনের যোগ্য নিজেকে প্রমাণ করে চলা বিরাট কোহলি আজ (৫ নভেম্বর) ৩৬ বছরে পা দিয়েছেন। আর আজকে তার জন্মদিনে তার সামনে রয়েছে মাইলফলক স্পর্শ করার সুবর্ণ সুযোগ।
বিশ্বকাপের ৩৭তম ম্যাচে আজ মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের দুই শীর্ষ দল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। কলকাতার ইডেন গার্ডেনেও এদিন গ্যালারির স্লোগানের কেন্দ্রে থাকতে পারেন কোহলি। ওয়ানডেতে শচীনের সর্বোচ্চ ৪৯তম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছোঁয়ার সুযোগ রয়েছে তার সামনে। ফরম্যাটটিতে কোহলির সেঞ্চুরি ৪৮টি। এর আগে দুই ম্যাচে তিনি ৯৫ এবং ৮৮ রান করে ফিরেছেন। সবমিলিয়ে তার এই বিশেষ দিনকে রাঙাতে প্রস্তুত ‘সিটি অফ জয়’খ্যাত কলকাতা।
বিশ্বক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করে চলা কোহলি ১৯৮৮ সালের আজকের এই দিনে পশ্চিম দিল্লির এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ক্রিমিনাল ল’ইয়ার ও মা গৃহিণী। যে তারকার নামটা আজ সর্বত্র আলোচিত তিনি নাকি দিল্লির স্থানীয় ক্রিকেটের রাজনীতি এবং স্বজনপ্রীতির কারণে অনূর্ধ্ব-১৪ দলে জায়গা পাননি। এরপর ‘লেগে থাকা’র মানসিকতা ও পরিশ্রমে কোহলি দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর উঠেছিল জাতীয় দলের আর্মব্যান্ডও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিরাট কোহলি মানেই পরিশ্রম, সংকল্প, শৃঙ্খলা, অধ্যবসায় ও অনুশীলনের মিশেলে সাফল্যের দারুণ এক ভাণ্ডার!
অসাধারণ সব ক্রিকেটীয় সাজানো তার ইনিংস ও একের পর এক রেকর্ড কোহলিকে অনেকেই তুলনায় নিয়ে যান শচীনের সঙ্গে। যদিও কোহলি সে তুলনা মানতে নারাজ। তার মতে— শচীনকে দেখে তিনি ক্রিকেট শিখেছেন। ৩৫ বছর বয়সে ওয়ানডে ফরম্যাটে শচীন করেছিলেন ১৬ হাজার ৩৬১ রান। কোহলির ব্যাটে এসেছে ১৩ হাজার ৫২৫ রান। তবে মনে রাখতে হবে যে, শচীন ততদিনে ৪০৭টি ওয়ানডে ইনিংস খেলে ফেলেছিলেন। সেখানে কোহলি খেলেছেন ২৭৬টি। তাই শচীনের থেকে রান কম হলেও গড় অনেকটাই বেশি। ৩৫-এর শচীনের গড় ছিল ৪৪.৩৩। সেখানে কোহলির ৫৮.০৪। অর্থাৎ শচীনের সমান ম্যাচ খেললে তাকে ছাপিয়ে যেতে পারতেন কোহলি।