কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্তির পরপরই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার ( ১ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় ছাত্রলীগের একটি পক্ষ অর্ধশতাদিক মোটর সাইকেল নিয়ে শোডাউন ও বাজি ফুটিয়ে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য যে, ৩০ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও রেজাউল ইসলাম মাজেদের নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। যদিও পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ফেসবুক পেইজ থেকে বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো।
তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ হলের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে বহিরাগত ছাত্রলীগের একটি পক্ষ শোডাউন দেওয়ার পাশাপাশি হলের সামনে বাজি ফোটায় । এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল আরোহীদের কয়েকজনকে বঙ্গবন্ধু হলেও প্রবেশ এবং কিছু সময় পরেই ‘বিলুপ্ত’ হওয়া কমিটির নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ হল থেকে রামদা, লাঠি, রড নিয়ে বের হয়ে আসে।
সেসময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ প্রক্টরিয়াল বডির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মূল ফটকে পুলিশও মোতায়েন করেন।
এ প্রেক্ষিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, “একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও অন্যান্য হলের প্রভোস্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছি। উপাচার্য মহোদয় ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেওয়া যায় দেখছি।”
শোডাউন ও বাজি ফুটানো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিলুপ্ত’ কমিটির নেতাকর্মীরা বলেন,” ক্যাম্পাসে হল দখল করতে এবং শিক্ষার্থীদের মনে আতঙ্কিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকা ছাত্রলীগের একটি পক্ষ এমন কাজ করেছে।”
তবে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আগামী কমিটির পদপ্রত্যাশী রেজা- ই- ইলাহী ইসলামের দাবী, “এমন ঘটনা বানোয়াট। আমাদের কেউ সেখানে যায়নি। তারাই হামলা করে আমাদের দায় দিচ্ছে।”
উল্লেখ্য যে, ইলিয়াস হোসেন সবুজকে সভাপতি ও রেজাউল ইসলাম মাজেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৭ সালের ২৬ মে এক বছরের জন্য কুবি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।